ডায়াবেটিসের বিভিন্ন ধরনের প্রকারভেদ আছে, যেমন—
১. টাইপ-১ ডায়াবেটিস
২. টাইপ-২ ডায়াবেটিস
৩. বিভিন্ন কারণে বিশেষ ধরনের ডায়াবেটিস—যেমন স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধের জন্য ডায়াবেটিস।
৪. গর্ভকালীন ডায়াবেটিস।
এর মধ্যে টাইপ-১ ডায়াবেটিস সাধারণত অল্প বয়সেই ধরা পড়ে। এ ধরনের ডায়াবেটিসে অগ্নাশয় থেকে একেবারেই ইনসুলিন নির্গত হয় না, তাই বাইরে থেকে ইনসুলিন নিতে হয়।
টাইপ-১ ডায়াবেটিসের লক্ষণ
♦ বেশি বেশি তৃষ্ণা পাওয়া
♦ মুখ শুকিয়ে যাওয়া
♦ হঠাৎ করে ওজন কমে যাওয়া
♦ বেশি বেশি প্রস্রাব হওয়া
♦ শরীর দুর্বল লাগা
♦ ক্ষতস্থান সহজে না শুকানো
টাইপ-১ ডায়াবেটিসের চিকিৎসা
♦ শর্করা জাতীয় খাবার পরিমিত খাওয়া
♦ মিষ্টি জাতীয় খাবার পরিহার করা
♦ নিয়মিত শরীরচর্চা বা হাঁটা
♦ এ ধরনের ডায়াবেটিসে যেহেতু শরীরে একেবারেই ইনসুলিন থাকে না, তাই প্রথম থেকেই ইনসুলিন নিতে হয়।
খাবার-দাবার
ডায়াবেটিস যেহেতু শর্করা জাতীয় খাবারের বিপাকীয় সমস্যাঘটিত রোগ তাই শর্করা জাতীয় খাদ্য যেমন—ভাত, রুটি, মিষ্টি জাতীয় খাবার এবং বিশিষ্ট ফল পরিমাণমতো খেতে হবে। যেসব খাবার সরাসরি রক্তে সুগার/শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়, সেগুলো পরিহার করে যেসব খাবার ধীরে ধীরে সুগার বাড়ায় সেগুলো খেতে হবে। যেমন—ভাত না খেয়ে লাল আটার রুটি খাওয়া ভালো। যেসব ফল খাওয়া যাবে না বা কম খেতে হবে—মিষ্টি ফল যেমন—আম, কাঁঠাল, মাল্টা, আঙুর, আনার; যেসব ফল খাওয়া যাবে—পানসে ফল যেমন—পেয়ারা, সবুজ আপেল, নাশপাতি। এগুলো ব্লাড সুগার কম বাড়ায়।
শরীরচর্চা
সপ্তাহে অন্তত ১৫০ মিনিট ঘাম ঝরিয়ে জোড়ে জোড়ে হাঁটতে হবে বা ব্যায়াম করতে হবে।
টাইপ-১ ডায়াবেটিস সম্পূর্ণরূপে ইনসুলিনের ওপর নির্ভরশীল, তাই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ইনসুলিন বন্ধ করা যাবে না। চার বেলা রক্তে সুগারের মাত্রা দেখে ইনসুলিনের ডোজ ঠিক করতে হবে।
পরামর্শ দিয়েছেন
ডা. মো. মাজহারুল হক তানিম
কনসালট্যান্ট
ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, মালিবাগ, ঢাকা।
Leave a Reply