ভারতগামী ও ভারত থেকে ফিরে আসা যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় এখন বোনাপোল স্হলবন্দরে। ঈদের ছুটিতে অনেকে গিয়েছিলেন ভারতে, তারা ফিরছেন। আবার চিকিত্সা, বেড়ানো, ব্যবসা, শিক্ষা প্রভৃতি উদ্দেশ্য নিয়ে প্রতিদিনই অনেক মানুষ যাচ্ছেন সেখানে। অতিরিক্ত যাত্রী চাপ সামাল দিতে হিমশিম অবস্হায় পড়েছে বেনাপোল ইমিগ্রেশন দপ্তর। একই কারণে পাসপোর্ট যাত্রীরা নানা ধরনের ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। গভীর রাত পর্যন্ত যাত্রী যাতায়াত করায় বাড়ছে নিরাপত্তা ঝুঁকি। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে অসুস্হ হয়ে পড়ছেন অনেকে। প্রতিনিয়ত ঘটছে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা।
জানা গেছে, দেশের অন্য শুল্ক স্টেশন দিয়ে যাত্রী যাতায়াত বন্ধ থাকায় বেনাপোল বন্দর দিয়ে গমনাগমন বেড়ে যায়। এ সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের সময় ভারত থেকে ফিরে আসা হাসিনা বেগম, ফরিদ মোল্লা ও কাশেম আলী জানান, পরিবার পরিজন নিয়ে ভারত ভ্রমণে ভয়াবহ দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। এই মাত্রার দুর্ভোগ আগে কখনো পোহাতে হয়নি।
যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলার সময় তারা জানান, ভারতের পেট্রাপোলে ইমিগ্রেশনে ধীরগতি-নেট সমস্যাসহ দালাল চক্রের কারণে যাত্রী ভোগান্তি বাড়ছে। প্রশাসনের মারমুখী আচরণের অভিযোগ করেছেন অনেকে। তারা বলছেন, সরকারকে ট্যাক্স দিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অনুমতি নিয়ে ভ্রমণে এসেছি। কেন আমাদের সঙ্গে এমন আচরণ করা হবে। তারা আরো জানিয়েছেন, সীমান্তে বিভিন্ন বাহিনী দায়িত্ব পালন করলেও যাত্রীদের লাইনে কোন শৃঙ্খলা ছিল না। ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে খেয়ে না খেয়ে। এটা ছিল এক অমানবিক পরিস্হিতি। বাংলাদেশে প্রবেশের পর বিভিন্ন গন্তব্যে যেতে ছিল টিকিট সংকট। কিছু ক্ষেত্রে টিকিট পেলেও বেশি দাম দিয়ে তা কাটতে হয়েছে।
বেনাপোল বন্দর উপ-পরিচালক আব্দুল জলিল জানান, বাংলাদেশ অংশে যাত্রী দুর্ভোগ কমাতে চেষ্টা চালাচ্ছেন তারা। রাতদিন যাত্রীসেবা বাড়ানো হয়েছে। ভারতীয় কতৃর্পক্ষের সঙ্গে সমস্যা সমাধানে যোগাযোগ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। ওসি ইমিগ্রেশন ইলিয়াস হোসেন জানান, বেনাপোল দিয়ে যাত্রীসেবায় আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করা হচ্ছে। গভীর রাত পর্যন্তও খোলা রাখা হয়েছে ডেক্স। বাড়ানো হয়েছে সেবা। বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি কামাল ভুঁইয়া জানান যাত্রী নিরাপত্তাসহ সব ধরনের সেবায় কাজ করছেন প্রশাসনের বিভিন্ন সংস্হা।
Leave a Reply