মাশরাফি বিন মুর্তজা-সাকিব আল হাসানের লড়াই বলে কথা। শের-ই-বাংলায় ছিল নজরকাড়া দর্শকের উপস্থিতি। প্রায় ১৫ হাজার দর্শকদের হতাশ করেননি মাশরাফি-সাকিবরা। শ্বাসরুদ্ধকর, টান টান উত্তেজনার খেলায় শেষ হাসি হাসে মাশরাফির সিলেট স্ট্রাইকার্স। ফরচুন বরিশাল হারলেও তারা লড়েছে শেষ বল পর্যন্তই।
১৪তম ওভারে ইব্রাহিম জাদরান-সাকিব আল হাসানের উইকেট নিয়ে লাগাম টেনে ধরেন রেজাউর রহমান রাজা। আর শেষ ওভারের প্রথম বলে ইফতিখার আহমেদকে ফিরিয়ে ম্যাচ এক প্রকার নিজেদের হাতের মুঠোয় নিয়ে আসেন। একই ওভারে মেহেদি হাসান মিরাজ রানআউট হলে যেন ষোলোকলা পূর্ণ হয়।
তবে মোহাম্মদ ওয়াসিম ছক্কা হাঁকিয়ে ভয় ধরিয়ে দেন। শেষ বলে প্রয়োজন ছিল ৭ রান, ৬ হলে টাই। কিন্তু ওয়াসিমের ব্যাট থেকে আসে ৪। শেষ পর্যন্ত ২ রানে ম্যাচ জিতে মাঠ ছাড়ে সিলেট স্ট্রাইকার্স।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ৫ উইকেটে ১৭৩ রান করে সিলেট। রান তাড়া করতে নেমে ৮ উইকেটে ১৭১ রানে থামে ফরচুন বরিশাল।
এর আগে প্রথম দেখায়ও বরিশালকে হারিয়েছিল সিলেট। দ্বিতীয় দেখায়ও হারালো তাদের। এই জয়ে ৭ ম্যাচ থেকে ৬ জয়ে ১২ পয়েন্ট সংগ্রহ করে যথারীতি পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে আছে সিলেট। আর সমান ম্যাচ থেকে ১০ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে বরিশাল।
ব্যাট হাতে সিলেটের নায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। আর বল হাতে রাজা। এক ওভারে জোড়া উইকেটসহ ৪১ রান দিয়ে রাজার শিকার ৩ উইকেট। সাকিব-জাদরান জুটি যখন চোখ রাঙাচ্ছিল তখন দুজনেরই স্ট্যাম্প উপড়ে ফেলেন রাজা। জাদরান ৩৭ বলে ৪২ আর সাকিব খেলেন ১৮ বলে ২৯ রানের ইনিংস। তাতে ৩০৪ রান নিয়ে বিপিএলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক সাকিব।
ইফতিখার সম্ভবানা দেখালেও এই ম্যাচে পারেননি। ছক্কা মারতে গিয়ে আউট হন বাউন্ডারিতে (১৩ বলে ১৭)। এছাড়া সাইফ হাসান ১৯ বলে ৩১ ও করিম জানাত ১২ বলে ২১ রান করেন। ৪ বলে ১০ রান নিয়ে অপরাজিত ছিলেন ওয়াসিম। দুটি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ আমির ও তানজীম হাসান সাকিব। ইমাদ ওয়াসিম দারুণ বোলিং করেন। উইকেট না পেলেও ৪ ওভারে দেন মাত্র ১৩ রান।
এর আগে মোহাম্মদ ওয়াসিমের গতিতে মাত্র ১৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল সিলেট। এরপর থেকে শুরু সিলেটের ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প। টম মুরসকে সঙ্গে নিয়ে শান্তর ইনিংস মেরামত শুরু, শেষে ঝড় তুলে বরিশালকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন।
১১টি চার ও ১টি ছয়ে শান্তর ইনিংসটি সাজানো ছিল। ফিফটি করেছেন ৪৮ বলে। এরপর ১৮ বলে নেন ৩৯ রান।
চতুর্থ উইকেটে শান্ত-মুরসের ৮১ রানের জুটিতে মূলত ঘুরে দাঁড়ায় সিলেট। ৭১ বলে এই জুটি গড়েন দুজনে। ৩০ বলে ৪০ রান করে মুরস ফিরলে ভাঙে জুটি। এ ছাড়া ১৬ বলে ২১ রান করেন থিসারা পেরেরা। গোল্ডেন ডাক মেরে ফেরেন জাকির হাসান ও মুশফিকুর রহিম। বরিশালের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন ওয়াসিম। ১টি করে উইকেট নেন সাকিব-কামরুল। অনলাইন ডেস্ক
Leave a Reply