যশোরের ঝিকরগাছা রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার নিগার সুলতানার দায়িত্বে অবহেলা ও বাড়িতে বসে বেতন ভাতা উত্তোলন করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ডিউটির কথা থাকলেও মাস্টারের উপস্থিতি ঠিকমতো পাওয়া দায়। রেলওয়ে স্টেশনে যোগদানের পর হতে সে তার দায়িত্বে অবহেলা, স্টেশনে ঠিকমতো না আসা, আসলেও স্টেশনে অবস্থান না করা, যাত্রীদের সাথে দূর্ব্যবহার করা, বহিরাগত দিয়ে স্টেশন পরিচালনা করা, অনৈতিক সুবিধা নিয়ে রেল স্টেশনের অভ্যন্তরের জায়গা ইজারার দেওয়ার সুপারিশ করা সহ বিভিন্ন অভিযোগ উপর অনুসন্ধ্যানে সোমবার ও মঙ্গলবার (৩০-৩১ জানুয়ারি) পরপর দুই দিন সরজমিন পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায় রেলওয়ে স্টেশন মাস্টারের রুম তালাবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় ঝিকরগাছা রেলওয়ে স্টেশনে দুইজন স্টেশন মাস্টার আছে। তার মধ্যে একজন পারভীন আক্তার বর্তমানে ছুটিতে আছেন। বর্তমানে দায়িত্বে আছেন নিগার সুলতানা নামের অপর স্টেশন মাস্টার। কিন্তু দুইদিনই তিনি অফিসে পাওয়া যায়নি। এদিকে নিগার সুলতানা আসার পর থেকেই ঝিকরগাছা রেলওয়ে স্টেশনের সেবার মান একেবারে তলানিতে ঠেকেছে। তার স্বেচ্ছাচারিতায় মানুষ ট্রেনে যাতায়াত করতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। অতিদ্রুত ঝিকরগাছা রেলস্টেশনের পূর্বের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে এই স্টেশন মাস্টারকে বদলির দাবী জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মহল।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে অফিসের একাধিক স্টাফ জানান, ম্যাডামের বাড়ির নিকট ঝিকরগাছাতে হওয়ায় তিনি কাওকে মুল্যায়ন করেন না। স্টেশনের পাশে একটা বাসা ভাড়া নিয়ে সেখানেই থাকেন। ইচ্ছে হলে স্টেশনে আসেন, না হলে আসেননা। সুবিধাজনক সময়ে এসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে যান।
স্টেশনে নিয়মিত যাতায়াতকারী যাত্রীরা জানান, নিগার সুলতানার ব্যবহার খুব খারাপ। তাকে ঠিকমতো স্টেশনে দেখা যায় না। আর যদি থাকেও তবে ট্রেন সংক্রান্ত কোনো বিষয় জানতে তার কাছে গেলে তিনি ভালো ভাবে কথা বলেননা।
রেলওয়ে স্টেশনে অনুপস্থিত থাকায় ফোনে যোগাযোগ করা হলে নিগার সুলতানা দুই দিনই বলেন, আজ আমার ডিউটি নেই। তাই স্টেশনে যায়নি।
বাংলাদেশ রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক শাহ সুফী নুর মোহাম্মদ বলেন, স্টেশন মাস্টারের অনুপস্থিতির বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।সংগ্রহ
Leave a Reply