হিজাব অধিকাংশ নারীর পছন্দের পোশাক। মুসলিম নারীদের এ পোশাক পরার ব্যাপারে ইসলামে বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে হিজাব পরা নিয়ে বাধা-বিপত্তির অভিজ্ঞতা রয়েছে অনেক নারীর। তাই হিজাবভীতির বিরুদ্ধে সংহতি জানাতে ও হিজাবের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ তৈরি করতে প্রতি বছর ১ ফেব্রুয়ারি পালিত হয় বিশ্ব হিজাব দিবস। এই বছর দিবসটির ১১তম বার্ষিকী উদযাপিত হচ্ছে।
২০১৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ‘বিশ্ব হিজাব দিবস’ পালনের উদ্যোগ নেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নিউইয়র্কের বাসিন্দা নাজমা খান। তিনি ১১ বছর বয়সে বাবা-মায়ের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। বর্তমানে তিনি নিউইয়র্কের ব্রঙ্কসে বসবাস করছেন। এখানে আসার পর থেকেই হিজাব পরা শুরু করেন তিনি। কিন্তু হিজাব পরার পর থেকে নানা ধরনের অসহিষ্ণু আচরণের মুখোমুখী হন তিনি।
তখন থেকে সব ধর্মের নারীরা হিজাব পরে হিজাবের সংহতি জানাতে অংশ নেন। দ্য ওয়ার্ল্ড হিজাব ডে (ডাব্লিওএইচডি)-এর উদ্যোগে এর কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এবার দিবসটি ১৫০টির বেশি দেশে পালিত হওয়ার আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। ‘প্রগতি, নিপীড়ন নয়’ প্রতিপাদ্য ধারণ করে দিবসটি পালনে সংহতি জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে #UnapologeticHijabi হ্যাশট্যাগ আনঅ্যাপোলোজেটিকহিজাবি শুরু হয়েছে।
আরবি ভাষায় হিজাবের শাব্দিক অর্থ, বিভাজন বা পর্দা। ইসলামী শরিয়ত অনুসারে মুসলিম নারীদের জন্য নির্দিষ্ট অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ঢেকে রাখতে হিজাব পরা বাধ্যতামূলক। বিশ্বের অনেক দেশে নারীদের হিজাব পরা নিয়ে বাধা-বিপত্তি থাকলেও তা অনেক নারীর জন্য আশা ও অগ্রগতির প্রতীক।সূত্র: কালেরকণ্ঠ
Leave a Reply