যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে যাতায়াতকারী যাত্রীদের সেবার জন্য নির্মাণ করা হয়েছে আন্তর্জাতিক যাত্রী টার্মিনাল। যাত্রীদের কাছে থেকে টার্মিনালটি ব্যবহারের জন্য নেওয়া হচ্ছে ‘যাত্রীসুবিধা ফি’। গত চার অর্থবছরে এই টার্মিনাল থেকে বন্দর কর্তৃপক্ষের আয়ও বেড়েছে। কিন্তু সে তুলনায় সেবার মান বাড়েনি বলে যাত্রীদের অভিযোগ।
টার্মিনাল ভবনের সামনে একই সময়ে পাঁচটি বড় বাস দাঁড়ানোর মতো খালি জায়গা আছে। কিন্তু বর্তমানে এই জায়গায় প্রাইভেট কার ও মোটরসাইকেল রাখা হচ্ছে। নিচতলায় খোলা বারান্দা, কাচ দিয়ে ঘেরা যাত্রীদের বিশ্রামকক্ষ ও শৌচাগার রয়েছে। তবে যাত্রীরা বিশ্রামকক্ষে বিশ্রাম নিতে পারেন না। বিশ্রামকক্ষটিকে দুটি ভাগ করা হয়েছে। এর একাংশ দিয়ে ভারত থেকে যাত্রীরা আসেন। অপর অংশ দিয়ে যাত্রীরা কাস্টমসের কার্যক্রম সেরে বহির্গমন বিভাগে যান।
ভবনের দ্বিতীয় তলায় যাত্রীদের জন্য রয়েছে রেস্তোরাঁ, শৌচাগারসহ বিশ্রামকক্ষ, হাত-মুখ ধোয়ার কক্ষ (ওয়াশরুম)। কিন্তু বর্তমানে দ্বিতীয় তলা সম্পূর্ণরূপে তালাবদ্ধ। যাত্রীরা ভেতরে ঢুকতে পারেন না। ভেতরে বন্দর কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন মালামাল রাখা। তৃতীয় তলায় টার্মিনাল তদারকি কার্যালয়, বিশেষ অতিথিদের (ভিআইপি) জন্য পাঁচটি বিশ্রামকক্ষ, শৌচাগার ও খোলা প্রাঙ্গণ। তবে ভিআইপিদের বিশ্রামকক্ষে এখন বন্দর পরিচালকের কার্যালয়ের কর্মকর্তারা বসেন।
বেনাপোল স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাতায়াতকারী যাত্রীদের সেবার মান বাড়াতে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে বেনাপোল স্থলবন্দরের তল্লাশিচৌকির পাশে নির্মাণ করা হয়েছে আন্তর্জাতিক যাত্রী টার্মিনাল। ছয়তলা ভিত্তির ওপর তৃতীয় তলা পর্যন্ত নির্মাণে খরচ হয়েছে ৭ কোটি ৬৮ লাখ ১৭ হাজার ৮৮২ টাকা। ২০১৭ সালের ২ জুন টার্মিনালটি উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনের পর ৪টি খাতে যাত্রীসুবিধা ফি নির্ধারণ করা হয় ৩৮ টাকা ৭৬ পয়সা। গত ৫ বছরে ৫ টাকা হারে ফি বৃদ্ধির কারণে ২০২২ সালে ফি দাঁড়িয়েছে ৪৩ টাকা ২ পয়সা। এর সঙ্গে ৬ টাকা ৪৫ পয়সা ভ্যাট মিলিয়ে মোট ফির পরিমাণ ৪৯ টাকা ৪৭ পয়সা।
Leave a Reply