সোহাগ হাসান সন্ধি, শালিখা মাগুরা প্রতিনিধি: মাগুরার শালিখায় ৩য় শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে সোরাপ মোল্লা (৪৫) কে গ্রেপতার করে আদালতে সোপর্দ করেছে শালিখা থানা পুলিশ।
শতখালী ইউনিয়নে পাঁচকাহুনিয়া গ্রামের মৃত রাশেদুল শেখের ৩য় শ্রেণীর শিশু কণ্যা গত ২৩ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে একই গ্রামের মকসেদ মোল্লার ছেলে সোরাপ মোল্লা (৪৫) পথমধ্যে আক্কাসের পেয়ারার বাগানে মুখ ও হাত বেধে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে।
ঐ সময় একই পথ দিয়ে স্কুলের অন্যান্য শিশুরা বাড়ি ফেরার সময় পেয়ারা বাগানের ভিতর চিৎকার শুনে এগিয়ে যায়। ধর্ষক সোরাপ মোল্লা লোকের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌড়ে পাল্টা যায়। শিশুটি কান্না করতে করতে বাড়িতে ফিরে তার সৎ মায়ের কাছে পুরো ঘটনা খুলে বলে। মা তৎক্ষনাত স্কুলে যান এবং প্রধান শিক্ষক তপতী রানী খাঁ কে বিষয়টি জানান ও আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বলেন।
এই ঘটনায় স্কুলের প্রধান শিক্ষক তপতী রানী খাঁ বলেন, আমি ঘটনাটি জানার সাথে সাথে স্কুল পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও সহ-সভাপতি কে অবহিত করি এবং দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলি। তারই ধারাবাহিকতায় ২৪ফেব্রুয়ারি শুক্রবার স্কুলে মিটিংয়ের দিন ধার্য করা হয়। ঐ দিন আনুমানিক রাত ১০ টার দিকে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো: জাহাঙ্গীর ও সভাপতি মো: আমিনুরের পরামর্শে সহ-সভাপতি মো: ইয়াকুব মোল্লা স্থানীয় ৮/১০ জন লোক নিয়ে আমার বাড়িতে আসেন এবং আপাতত মিটিং না করে পুনরায় মিটিং এর দিন ধায্য করতে বলেন।
সভাপতি ও সহ-সভাপতি স্বদিচ্ছার অভাবে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে কালবিলম্ব হতে থাকে।
মামলার বাদী ভিকটিমের সৎ মা নিলুফা বেগম বলেন, সে আমার সৎ মেয়ে হলেও আমি আমার নিজের পেটের সন্তানের মতোই স্নেহ করি। স্বামী হারা মা আমি,
আমার চারটি সন্তান সহ শয্যাশায়ী শাশুড়ি নিয়ে নিদারুণ কষ্টে জীবন যাপন করি। আমি অন্যের বাড়িতে কাজ করে সংসারের খরচ যুগিয়ে শতক কষ্টের মাঝে ও আমার সন্তানদের পড়ালেখা চালিয়ে যাচ্ছি। আমি এই ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি দাবি করছি।
শালিখা থানা অফিসার ইনচার্জ মো: বিশারুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় ভিকটিমের সৎ মা নিলুফা বেগম বাদী হয়ে শালিখা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে ৯(১) ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। যায় মামলা নং-১২ তারিখ ২৮/০২/২০২৩ ইং। উক্ত মামলার প্রধান আসামি ধর্ষক সোরাপ মোল্লা (৪৫) কে ঐ দিনই গ্রেপতার করা হয় এবং আদালতে সোপর্দ করা হয়।
এ ছাড়াও ২০১৩ সালে আদালত অবমাননা আইনের ১৩ ধারায় পাঁচ জনকে আসামি করে একটি মামলা ইজহারভুক্ত করা হয়েছে। ২৮ ফেব্রুয়ারি ভিকটিমের মেডিকেল পরীক্ষা মাগুরা সদর হাসপাতালে সম্পন্ন হয়েছে। মামলাটি তদন্তাধীন।
Leave a Reply