লিওনেল মেসির সঙ্গে বার্সেলোনার সম্পর্কটা যে কখনো শেষ হয়ে যেতে পারে, সেটা একটা সময় অকল্পনীয়ই ছিল। সেই অকল্পনীয় বিষয়টাই ঘটে গিয়েছিল গেল বছর। গেল বছরের আগস্টে প্রায় মেসি-বার্সার দুই দশকের সম্পর্কের ইতি যখন ঘটল, তখন রীতিমতো একটা ‘শক ওয়েভই’ বয়ে গিয়েছিল ফুটবল বিশ্বে।
মেসির বার্সা ছাড়ার ঘটনায় লা লিগার নিয়মের মারপ্যাঁচ ছিল প্রত্যক্ষ কারণ। তবে আড়ালে আবডালে বার্সা সভাপতি হোয়ান লাপোর্তাকেও কম দোষারোপের শিকার হতে হয়নি। এবার বার্সেলোনা প্রধান নিজেই মাথাপেতে নিলেন মেসিকে ছেড়ে দেওয়ার দায়টা। জানালেন, মেসিকে হারিয়ে ফেলার আংশিক দায়টা তার ঘাড়েও বর্তায়।
মেসিকে ছাড়ার এক বছর ঘনিয়ে আসছে। তার ঠিক আগে বার্সেলোনা আবারও তাকে ফেরানোর বিষয়টি ভাবা শুরু করেছে। সম্প্রতি লাপোর্তা নিজেই জানিয়েছিলেন বিষয়টি। এরপর স্প্যানিশ ক্রীড়াদৈনিক স্পোর্ত জানাচ্ছিল, কোচ জাভিও চান, মেসি শিগগিরই ফিরুক বার্সায়। এবার বার্সা সভাপতি লাপোর্তা আবারও জোর গলায় বললেন, ফিরিয়ে আনতে চান আর্জেন্টাইন মহাতারকাকে।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে ইউএনএইচসিআরের একটি অনুষ্ঠানে ক্লাবের পক্ষ থেকে অংশ নিয়েছিলেন লাপোর্তা। এরপরই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। মেসির বার্সায় ফেরা বিষয়ে প্রশ্ন ধেয়ে গিয়েছিল তার দিকে।
সেই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মেসির কাছে নৈতিক ভাবে ঋণী আমরা। আমি চাই, মেসির খেলোয়াড়ি জীবনটা শেষ হোক বার্সেলোনার জার্সি পরে, প্রতিটা স্টেডিয়ামে সরব প্রশংসা শুনে।’
এরপরই তিনি জানান, তার মতে মেসিকে ছেড়ে দেওয়ার আংশিক দায় তারও আছে। তিনি বলেন, ‘এটা আমার তীব্র আকাঙ্ক্ষা। যেভাবে বার্সার সঙ্গে মেসির সম্পর্কটা শেষ হয়েছে, তাতে নিজেরও খানিকটা দায় দেখছি আমি। তবে তাকে ফেরানোর বিষয়টা এখনো অনেক যদি কিন্তুর বেড়াজালে আটকে আছে। আর আমরা একে বাস্তবে রূপ দিতে পারবো। আমাদের আকাঙ্ক্ষাটা এমনই।’
এর আগে গত ২৪ জুলাই লাপোর্তা মেসিকে ছাড়ার দায়টা চাপিয়েছিলেন বার্সার আর্থিক পরিস্থিতির ওপর। তিনি বলেছিলেন, ‘যেমন আর্থিক পরিস্থিতিতে ক্লাবের দায়িত্বে এসেছিলাম, এমন কিছু একটা হতোই। তবে কোচ ও খেলোয়াড়দের চেয়ে ক্লাবের অবস্থান অনেক ওপরে।’
সেই সাক্ষাৎকারে বার্সা সভাপতি আরও বলেছিলেন, ‘আমি মনে করি, আমি আশা করি, মেসির বার্সা অধ্যায়টা শেষ হয়ে যায়নি। আর আমি মনে করি, এই অধ্যায়টা, যেটা বন্ধ হয়নি এখনো, সেটায় ভালো কিছু মুহূর্ত আনার দায়িত্বটা আমাদেরই, যাতে করে অধ্যায়টা একটা প্রাপ্য সমাপ্তি পায়। যেভাবে শেষ হয়েছে বলে মনে হচ্ছে, তার চেয়ে যেন ভালো হয়।’
Leave a Reply