সর্দি-কাশি, জ্বর, গায়ে ব্যথা হলে অনেকের মনেই আশঙ্কা জাগছে। জ্বর নাকি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, তা বুঝতে পারছেন না। এই মৌসুমে অনেকেরই জ্বর হচ্ছে। তবে সবাই যে করোনার কারণে জ্বরে ভুগছেন তা নয়।
করোনার অন্যতম লক্ষণ জ্বর। তবে সব জ্বর কিন্তু করোনার কারণে হয় না।
জ্বর ও করোনার পার্থক্য
করোনা সংক্রমণ হয়েছে কি না, তা জানার উপায় হচ্ছে আরটি-পিসিআর টেস্ট করা। তবে এই টেস্ট শতভাগ নিশ্চয়তা দেয় না।
কিছু লক্ষণ দেখে বোঝা যেতে পারে করোনার সংক্রমণের কারণে জ্বর এসেছে কি না।
♦ খুব উচ্চ তাপমাত্রা, বারবার কাশি, স্বাদ ও গন্ধ না থাকার লক্ষণগুলো করোনার খুব সাধারণ উপসর্গ।
♦ অনেক সময় জ্বর ১০০ ডিগ্রির বেশি হয় না, তবে বারবার তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। এই জ্বর সব সময় করোনাভাইরাস না-ও হতে পারে। এ ক্ষেত্রে বারবার তাপমাত্রা মাপা উচিত। অন্য কোনো কারণেও হতে পারে।
♦ সাধারণ জ্বর, ঠাণ্ডা লেগে জ্বর ও করোনার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। করোনায় জ্বরের ক্ষেত্রে কাশি থাকে বেশি। সাধারণ জ্বর হলে হঠাৎ করেই জ্বর হয় এবং হাত-পায়ে ব্যথা, মাথায় যন্ত্রণা, নাক দিয়ে পানি পড়া, গলায় ব্যথা হয়। এসব ক্ষেত্রে কয়েক দিনের মধ্যে জ্বর কমে যায়, শরীর দুর্বল করে দেয় যদিও। গলা ব্যথা কিংবা নাক দিয়ে পানি পড়ার সমস্যা থাকে। তবে জ্বরের সময় শরীরের তাপমাত্রা খুব বেশি থাকে না।
♦ করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রে কাশি খুব মারাত্মক হয়। যাদের ফুসফুসে সমস্যা রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে বুকে চাপ অনুভূত হয়। সমস্যা যদি আরো গুরুতর হতে শুরু করে তাহলে অবিলম্বে করোনা টেস্ট করানো উচিত।
♦ উচ্চ তাপমাত্রা, স্বাদ-গন্ধ চলে যাওয়া কভিডের লক্ষণ। এই লক্ষণগুলো থাকলে অবিলম্বে আলাদা ঘরে একা থাকতে হবে।
♦ নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া করোনার অন্যতম লক্ষণ। সাধারণ জ্বরের ক্ষেত্রে এমনটা হয় না। অনেক সময় আবহাওয়া পরিবর্তনে এই উপসর্গগুলো দেখা যায়। এ অবস্থায় আইসোলেশনে অথবা অন্যদের থেকে একটু আলাদা থাকার চেষ্টা করুন।
পরামর্শ দিয়েছেন
ডা. মো. নুরুজ্জামান
সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান,
মেডিসিন বিভাগ এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, দিনাজপুর
Leave a Reply