হিজলা প্রতিনিধি :
বরিশালে হিজলা উপজেলার মেঘনা নদীতে জাতীয় সম্পদ ইলিশ রক্ষায় পহেলা মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল যে কোন মাছ ধরা ও জাল ফেলা নিষিদ্ধ করেছে সরকার।
৩০ এপ্রিল শেষ হবে জাটকা সংরক্ষণ কর্মসূচির এই অভয়াশ্রম রক্ষা অভিযান। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও মেঘনা নদীর ৮২ কিলেমিটার এলাকায় ইলিশের ৬ষ্ঠ অভয়াশ্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে।
এরই ধারাবাহিকতায় বরিশালের হিজলা উপজেলায় অভয়াশ্রম সংলগ্ন মেঘনা নদীতে অভিযান বাস্তবায়নে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এম এম পারভেজ নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
১ লা মার্চ ২০২৩ হতে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বিভিন্ন বাধা বিপত্তির মধ্যেও সাহসিকতার সাথে মৎস্য অভয়াশ্রম বাস্তবায়নে সরকারি আইন প্রতিপালন করে যাচ্ছেন সিনিয়র উপজেলা মৎস্য দপ্তর ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।
উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, ১লা মার্চ ২০২৩ হতে ১৫ই এপ্রিল ২০২৩ খ্রিঃ পর্যন্ত ৬১ টি মোবাইল কোর্ট এবং ১০৭ টি অভিযান পরিচালিত হয়েছে। এ অভিযানে ১২২ জন আসামী আটক করে মামলা দেওয়া হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মো: তারেক হাওলাদার এর মোবাইল কোর্টে ১০৫ জনকে সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে এবং ১.২৭ লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
এ ছাড়াও ২.০৮ লক্ষ মিটার কারেন্ট জাল, ৫২ টি অন্যান্য জাল জব্দ করে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে।
৪.৩২ মে. টন জাটকাসহ ইলিশ এবং ১.১৪ মে.টন অন্যান্য মাছ জব্দ করা হয়েছে যা বিভিন্ন এতিমখানা মাদ্রাসা ও স্থানীয় গরীব অসহায় দুঃস্থ্যদের মাছে বিতরণ করা হয়েছে।
অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর রেকর্ড সংখ্যক আইন প্রতিপালন করা হয়েছে বলে দাবি করেন সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এম এম পারভেজ। নিজস্ব স্পীডবোট থাকায় এ কাজ সহজতর হয়েছে বলে জানান তিনি।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে, সরকারি নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে কঠোর অভিযানের চিত্র লক্ষ্য করা গেছে এবং এর সুফল আগামীতে পাওয়া যাবে বলে মৎস্যজীবীসহ সংশ্লিষ্ট সবাই আশা করছেন।
মৎস্যসম্পদ রক্ষায় এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন এই কর্মকর্তা।
Leave a Reply