মাদারীপুরে এলজিইডির তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী জাকির হোসেনের অফিস কক্ষে চলছে এসি। অভিযোগ রয়েছে, তিনি শহরেই কিনেছেন কোটি টাকার জমি। এসব বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে লিখিত অভিযোগ করেছেন ইফতেখার মাহমুদ নামের এক ব্যক্তি। জানা গেছে, একই অফিসের প্রকৌশলীর কক্ষে নেই এসি।এতে ক্ষোভ বিরাজ করছে অফিসের কর্মকর্তাদের মধ্যে।
দুর্নীতি দমন কমিশনে দেওয়া অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর জেলা এলজিইডি অফিসের হিসাবরক্ষক মো. জাকির হোসেন একসময় কর্মরত ছিলেন কালকিনি উপজেলা প্রকৌশলীর দপ্তরে অফিস সহায়ক পদে। সে সময় দরপত্র শিডিউলের রেট আইটেম নিজ হাতে কাটাছেঁড়া করার দায়ে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়। মামলার পর তাঁকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পরে এক প্রভাবশালী নেতার সুপারিশে আবার চাকরিতে বহাল করা হয়। দেওয়া হয় পদোন্নতি। দায়িত্ব দেওয়া হয় মাদারীপুর জেলা এলজিইডির হিসাবরক্ষক পদে।
অভিযোগ রয়েছে, এর পর থেকেই বেপরোয়া দুর্নীতি শুরু করেন তিনি। অল্পদিনের মধ্যেই ছেলে মনিরুজ্জামানের নামে কেনেন মাদারীপুর এলজিইডি ভবনের দক্ষিণ পাশে ১৩ শতাংশ জমি, যার বাজারমূল্য কোটি টাকা।
দুদকে দেওয়া লিখিত অভিযোগে আরো জানা গেছে, তিনি ঢাকায় ছেলে ও স্ত্রীর নামে ফ্ল্যাট কিনেছেন। ঠিকাদারদের কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে চুক্তি মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত বিল দিয়েছেন। এ ছাড়া ভ্যাট, আয়কর, রোলার ভাড়া কর্তন না করেই ঠিকাদারদের বিল পরিশোধ করেছেন। এতে সরকার কোটি কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে। ঠিকাদারদের বিল দেওয়ার সময় শতকরা দুই ভাগ টাকা ঘুষ নিয়ে থাকেন বলেও অভিযোগ তোলা হয়েছে।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জাকির হোসেন। তাঁর দাবি, ষড়যন্ত্র করে তাঁর নামে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। গরমের কারণে নির্বাহী প্রকৌশলীর অনুমতি নিয়ে অফিসে এসি লাগিয়েছেন। যে জমির কথা বলা হচ্ছে, সেটির মালিকও তিনি নন।
মাদারীপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফ আলি খান বলেছেন, শিগগিরই তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দু-এক দিনের মধ্যেই ওই কক্ষের এসি খুলে ফেলা হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
সুত্র কালের কন্ঠ
Leave a Reply