দুই দিন শেষ হয়ে আজ ঈদের তৃতীয় দিন। কলমাকান্দা সদরের প্রতিটি কাঁচাবাজারে ক্রেতা বিক্রেতা উভয়ই কম। যাদের প্রয়োজন তারাই কেবল আসছেন কাঁচাবাজারে। কিন্তু বাজারে সবজির দাম আগের মতো থাকলেও বিক্রেতারা কাঁচামরিচের দাম হাঁকাচ্ছেন আকাশচুম্বী। ক্রেতাদের অভিযোগ বাজারেে খুচরা বাজারে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা দরে।
ক্রেতারা জানান, তারা কোনদিন কাঁচামরিচের এত দাম দেখেননি। একই কথা বলছেন বিক্রেতারাও। সকাল ও দুপুরে উপজেলা বাজারের বিভিন্ন কাঁচাবাজার সরেজমিন ঘুরে দেখা যায় সবজি বাজারের বর্তমান এ হালচাল। এদিকে হঠাৎ কাঁচা মরিচের দাম এভাবে বেড়ে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ী ও ক্রেতা উভয়েই।
উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সপ্তাহখানেক ধরে কাঁচা মরিচের দাম বেড়েই চলছে। এর মধ্যে, ঈদের আগের দিন থেকে খুচরা বাজারে কাঁচা মরিচের কেজি ৫০০ টাকায় পৌঁছায়। কিন্তু ১০ দিন আগেও কাঁচা মরিচ ১৩০-১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল। বর্তমানে পাইকারি বাজারে ৫০০-৬০০ টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে।
কলমাকান্দা এতিমখানা বাজারের বাসিন্দা মোসলেম উদ্দিন বলেন, ‘শনিবার সকালে কাঁচামরিচ কিনতে এসে তো আকাশ থেকে পড়া অবস্থা। এক কেজি কাঁচা মরিচের দাম এত টাকা। বাধ্য হয়ে শুকনো মরিচ কিনে বাড়ি যাচ্ছি।’
ফেরি করা সবজি ব্যবসায়ী মতিন মিয়া বলেন, পাইকারি বাজার থেকে সবজি কিনে এনে বিভিন্ন পাড়া-মহল্লা ও ফুটপাতে বিক্রি করি। বর্তমানে কাঁচা মরিচ ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। যদিও মানুষ ৫০-১০০ গ্রাম করে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
আরেক ভদ্রলোক জানান, এক কেজি কাঁচামরিচের দামে এখন এক কেজি খাসির মাংস পাওয়া যাচ্ছে।’ এদিকে কোরবানির ঈদকে টার্গেট করে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট তৈরি করেছে দাবি করে তিনি বলেন, মূলত অসাদু ব্যবসায়ীরা কাঁচা মরিচের দাম বাড়িয়েছেন। প্রতিবছর রমজানের ঈদে কাঁচা মরিচসহ অন্যান্য সবজির দাম বাড়লেও এবার বেড়েছে কোরবানির ঈদে।’
পূর্ব বাজার কাঁচা বাজারের খুচরা বিক্রেতা মজিবর রহমান বলেন, ‘পাইকারি বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় খুচরা বাজারেও এর প্রভাব পড়েছে।
উপজেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ দপ্তরের সহকারী কর্মকর্তার কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই মুহূর্তে কাঁচা মরিচের দাম চড়া এটা সত্য শুনেছি। তবে, এ বিষয়ে আর কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।
Leave a Reply