সোমবার (৩১ জুলাই) বিকেলে ওই ছাত্রীর বাবা বাদী ভাঙ্গা থানায় মামলা করেন। মেয়েটিকে শারীরিক পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- প্রচেষ্টা পরিবহনের সুপারভাইজার আসিফ সরদার (২২), হেলপার রাকিব মাতুব্বর (২৪) ও তার মা লিলি বেগম (৫০)।
মেয়েটির দুলাভাই বলেন, ‘শ্যালিকা ঢাকার হাজারীবাগ খাদিজাতুল কোবরা নামের একটি মহিলা মাদরাসায় তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী। হাজারীবাগে একটি ভাড়া বাসায় আমাদের সঙ্গেই থাকে। রোববার বিকেলে তাকে বাড়িতে যাওয়ার জন্য বাবুবাজার থেকে ভাঙ্গাগামী প্রচেষ্টা পরিবহনের একটি বাসে তুলে দেই। তার জন্য ভাঙ্গায় অপেক্ষা করছিলেন শ্বশুর।’
মেয়েটির বাবা বলেন, ‘মেয়েকে না পেয়ে তার মোবাইলে ফোন দিলে সেটিও বন্ধ পাই। খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে রাতে পুলিশকে জানানো হয়।’
ভাঙ্গা থানার ডিউটি কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) জুয়েল বলেন, রোববার রাত আনুমানিক ৩টার দিকে মৌখিক অভিযোগ পেয়ে পরিবারের লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে অভিযানে নামে পুলিশ।
এরপর সোমবার সকালে ওই বাসের সুপারভাইজার আসিফকে আটক করার পর তার দেওয়া তথ্য মতে হেলপার রাকিবের বাসা থেকে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়।’
পুলিশ জানায়, ভাঙ্গায় পৌঁছানোর পর মেয়েটিকে বাস থেকে না নামিয়ে নিরাপদে পৌঁছে দেবে বলে জানায় হেলপার রাকিবুল। কিন্তু কিছুদূর সামনে নিয়ে তাকে নামিয়ে রাকিবুল তার বাসায় নিয়ে যান।
এ বিষয়ে মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা ভাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মনির বলেন, অপহরণ ও ধর্ষণের ঘটনায় ভাঙ্গা থানায় মামলা হয়েছে। ওই ছাত্রীকে মেডিকেল পরীক্ষা ও উন্নত চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়ারুল ইসলাম বলেন, ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কি না তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply