রোকসানা আক্তার শীলা, ছয় বিয়ের পরও সে ‘কুমারী’ সোস্যাল মিডিয়া ও জামালপুরে সমালোচনার ঝড়

জামালপুর প্রতিনিধি :

জামালপুর পৌরসভার চালাপাড়া এলাকার আব্দুর রশিদের কন্যা রোকসানা আক্তার শীলা আনুমানিক ৩০ বছর বয়সে ৬ বিবাহের পরও নিজেকে কুমারি সাজিয়ে বসে আছেন। বিষয়টি নিয়ে সোস্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ হলে এলাকাসহ দেশ জুড়ে মুখোরচক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিনত হয়েছে।

৫বিবাহের পর ৬ নম্বর বিয়ের পিড়িতে বসে সেখানেও তিনি নিজেকে ক্লিন কুমারি হিসাবে কাবিন নামায় নিজের নাম স্বাক্ষর করেন, বেশ ভালোই চলছিলো তার ৬নম্বর সংসার, কপালের ফ্যারে ধরা খেয়ে যান নব্য স্বামী ও শশুরের কাছে। বিষয়টি নব্য স্বামী পেছনের সব রেকর্ড জেনে ফেলেন, এরপর থেকে শুরু হয় নতুন সংসারে অশান্তি।

খোজ নিয়ে নব্য স্বামী যখন তার স্ত্রী রোকসানা আক্তার শীলার কাছে বলে তখন স্ত্রী শিলা পূর্বের বিদায়ী স্বামীদের যা করেছেন সেই পথে আবার হাটা শুরু করেন,(মানে মামলা) শীলার এলাকার সচেতন একটি মহল বলছেন এটা শীলার নেশা পেশা,

বড় অংকের অর্থ বানিজ্য, ৫/৬ মাস আবার কারো সাথে এক বছর সংসার করে পায়ে পাড়া দিয়ে স্বামীর সাথে অথবা তার পরিবারের সাথে গোলোযোগ করে স্বামীকে তালাক দিতে বাধ্য করে। রোকসানা আক্তার শীলার নিজের চেহারা নিয়ে খুব দম্ভ , যে কারনে কোন নিচু পরিবারের সাথে সে সম্পর্ক করেনা কোটি পতি হতে হয়, যার কাবিন দিতে হয় বিশ লক্ষ টাকার চেয়ে কম না।

অনেকেই তাকে দেহ বানিজ্যিক বলে আখ্যা দিয়েছেন।ষষ্ঠ বিয়ের পর সম্প্রতি বিষয়টি প্রকাশ পেলে আলোচনায় আসে। সর্বশেষ শীলার ষষ্ঠপক্ষের শ্বশুর ও স্বামী মেহেদী হাসানের বাবা জাকিউল ইসলাম ওরফে তিব্বত জানান, আমার একমাত্র ছেলে মেহেদী হাসানকে কৌশলে পটিয়ে বিয়ে করেন।

২০২২ সালের ১৬ ডিসেম্বর মাসে,কাউকে না জানিয়ে বিশ লক্ষ টাকার কাবিনে বিয়ে হয়,পরে শীলার পরিচয় সংগ্রহ করেন মেহেদী হাসান।তখন সেখানে জানতে পারেন, শীলার আরো পাঁচ জায়গায় বিয়ে হয়েছে এবং বিদায়ী সব স্বামীর কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে ওই শীলা নামের বহু বিবাহের জারকুমারি।

উক্ত বিষয়ে ইসলামপুর থানার ইনচার্জ (ওসি) মাজেদুর রহমান জানান, রোকসানা আক্তার শীলাকে বিয়ের পর মেহেদী হাসান জানতে পারে, এর আগে ওই মেয়ের আরো পাঁচটি সংসার হয়েছে, বিষয়টি নিয়ে একটি মামলা হয়েছে। তবে শিলার অভিযোগের কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি, বিষয়টি তদান্ত চলছে ।