যশোর সদরের ভেকুটিয়া গ্রামের জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধকে সা¤প্রদায়িক উস্কানীমূলক বিরোধে পরিণত করার চক্রান্ত করছে আব্দুর মান্নান ও মাধাই গংরা। ঘটনাটি সা¤প্রদায়িক খাতে প্রভাবিত করে মালিকানা জমি অবৈধভাবে দখলে রেখেছে তারা। বৃহস্পতিবার প্রেসক্লাব যশোরে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক আবদার হোসেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আবদার হোসেনের পিতা আব্দুল মোতালেব, চাচা আব্দুল খালেক, সাবেক মেম্বর বদর উদ্দিন বুদো, প্রতিবেশী মন্টু শেখ, সৈয়দ আলী, জামাল মিয়া, সাজ্জাদ হোসেন রিপন, মোহাম্মদ করিম, শুকুর আলী, ফারুক হোসেন, নাহার বেগম, তোফাজ্জেল হোসেন, কবির হোসেন, বিল্লাল হোসেন, শেখ সুইট প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক আবদার হোসেন জানিয়েছেন, পৈত্রিক সুত্রে বিগত একশো বছরেরও বেশি সময় ধরে আমার পরিবার ভেকুটিয়া গ্রামে হিন্দু-মুসলিম মিলে-মিশে বসবাস করে আসছেন। আমাদের পৈত্রিক ৮ শতক জমি অজিত গংদের নামে ভুল রেকর্ড হয়।
এরপরে ওই জমি একই এলাকার চিহ্নিত মাদক ও অস্ত্র ব্যবসায়ী মান্নান গং অবৈধ ভাবে দখল করে রাখে। আদালতের স্বরনাপন্ন হয়ে আইনী প্রক্রিয়ায় ডিক্রি প্রাপ্ত হলেও ওই জমি দখল করতে পারেনি আমরা।
এ সময় ওই গ্রামের হিন্দু স¤প্রদায়ের প্রায় শতাধিক পরিবারকে উস্কে দিয়ে বিষয়টি সা¤প্রদায়িক গোলযোগের দিকে প্রভাবিত করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে মান্নান ও মাধউ গংরা।
তিনি বলেন, আদালতের আদেশ জারির পর গত ১০ আগস্ট জারীকারকসহ আরবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহারুল ইসলাম ও ইউপি সদস্য আবুল কালাম আজাদসহ স্থানীয় লোকজন আমার পৈত্রিক ৮ শতক জমি বুঝিয়ে দিতে গেলে আব্দুর মান্নান ও মাধাই গং বাঁধা প্রদান করে।
এ সময় তারা গাছি দা, লোহার রডসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জারীকারক, চেয়ারম্যানসহ অনান্যদের ঘিরে ধরে। তারা আমার নিকট ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। পরিস্থিতি ভয়ানক হওয়ায় তাৎক্ষনাৎ পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।
তবে পুলিশ আসার আগেই মান্নান ও মাধাইয়ের বাহিনীর চেয়ারম্যান ও আব্দার হোসেনসহ উপস্থিত থাকা সকলকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করে। এরপর মাধই গংরা ষড়যন্ত্র করে চেয়ারম্যা, মেম্বর ও আমিসহ কয়েকজনকে আসামি করে আদালতে চাঁদাবাজি মামলা করেছে।
তিনি আরও বলেন, প্রথম থেকেই এই মান্নান ও মাধাই গংরা বিভিন্ন মহলে দৌড়ঝাপ করে সংবাদপত্রে ভূয়া মিথ্যা বানোয়াট তথ্য দিয়ে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমি এর আগে গ্রামের কন্ঠ নামের একটি সংবাদপত্রের বিরুদ্ধে মানহানী মামলাও করেছি।
তবুও কিছু লোক সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ঘটনা যাচাই-বাছাই না করেই মান্নান ও মাধাই গংদের পক্ষ নিয়ে সামপ্রদায়িক বিভ্রান্তি ও বিবাদ সৃষ্টি করতে সহোযোগিতা করছে।
এ ঘটনার জোরদার তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা ও সত্য উদঘাটন করে আমরা ন্যায্য জমি ফিরিয়ে দিতে প্রশাসনের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।
Leave a Reply