যশোরের ঝিকরগাছার বল্লাগ্রামে বদর উদ্দীন মোড়ল নামে এক বীর মুক্তিযোদ্ধার সম্পতি আত্মসাতের চেষ্টা করছে একটি চক্র।বর্তমান ওই পরিবার চক্রের ভয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
সূত্র জানায়, ঝিকরগাছা উপজেলার নির্বাসখোলা ইউনিয়নের বল্লা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা বদর উদ্দীন মোড়ল ভূমি অফিসে নায়েবের চাকুরি করতেন। তার চারটি স্ত্রী। তারা হলো, শাহিদা বেগম, আয়শা বেগম, রহিমা বেগম ও আমেনা বেগম। এরমধ্যে শাহিদা ও রহিমা মৃত।
এছাড়া আয়শা তালাকপ্রাপ্ত ও আমেনা বেগম জীবিত। সম্প্রতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বদর উদ্দীন মোড়লের মৃত্যু হয়েছে। এরপর থেকে ছোট স্ত্রী আমেনা বেগম অন্য স্ত্রীদের ছেলে মেয়েদের সম্পতি ফাঁকি দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। মুক্তিযোদ্ধার ও সরকারি চাকরির ভাতা আমেনা বেগম একা ভোগ দখল করছেন।
প্রথম স্ত্রী ছেলে রহমান জানান, সর্বশেষ তার পিতা আমেনা বেগমকে বিয়ে করেন। ২০১২ সালে ওই ঘরের মেয়ে হালিমা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। এ সময় আমেনা খাতুন বাদি হয়ে স্বামী বদর উদ্দীন মোড়লের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে তার পিতা বদর উদ্দীন মোড়ল জামিনে বের হয়ে স্ত্রী আমেনা খাতুনকে নিয়ে বাঁকড়া ভাড়া বাড়িতে উঠেন।
এর পর হত্যা মামলা থেকে অব্যহতি দেয়ার কথা বলে মুক্তিযোদ্ধার ভাতা ও পেনশনের টাকা নমিনি করে নেন আমেনা খাতুনের নামে। ওই সময় বদর উদ্দীন বাঁবড়া বাজারে একটি জমি ক্রয় করেন। যা ভোগ দখলে রেখেছেন আমেনা। তারা কেউ জমির উপর গেলে খুন ও গুমের হুমকি দেয়া হয়। বল্লা গ্রামে তাদের ১০ শতক জমি রয়েছে।
ওই জমিতে বর্তমান তিন স্ত্রীর সাতটি পরিবার বসবাস করছে। প্রায়দিন আমেনা খাতুনের নেতৃত্বে স্থানীয় একটি গ্রুপ জমির উপর এসে তাদের উঠে যেতে বলছেন। ওই জমিও মৃত্যুর আগে বদর উদ্দীন তার নামে লিখে দিয়ে গেছে বলে দাবি ছোট স্ত্রী আমেনা খাতুনের। যা সত্য নয়, কেননা তারা ভূমি অফিসে খবর নিয়ে এর কোনো সতত্যা পাননি।
জমি বদর উদ্দীনের নামেই আছে। প্রায় দিন বাড়ির উপর সন্ত্রাসীরা হুমকি দেয়ার কারনে তারা নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন।
এ ব্যাপারে আমেনা খাতুন জানান, তিনি জোর পূর্বক কোন কিছু ভোগ দখল করছেন না। মৃত্যুর আগে তার স্বামী জমি, মুক্তিযোদ্ধার ভাতা ও পেনশনের টাকা তার নামে করে দিয়ে গেছেন।
Leave a Reply