এশিয়া কাপের ফাইনালে বল হাতে রুদ্রমূর্তি রূপ ধারণ করলেন মোহাম্মদ সিরাজ। বিধ্বংসী বোলিংয়ে একাই ধসিয়ে দেন লঙ্কানদের ব্যাটিং লাইনআপ। এরপর সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি স্বাগতিকরা। এশিয়া কাপের ফাইনালে তাদের পুঁজি ছিল মাত্র ৫০ রান। পরে জবাব দিতে নেমে ছয় ওভার এক বল শেষে অর্থাৎ ৩৭ বলে জয় তুলে নেয়। এ নিয়ে অষ্টম বারের মত শিরোপা ঘরে তুলেছে ভারত।
কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে রোববার টস জেতে লঙ্কার অধিনায়ক দাসুন শানাকা। কিন্তু কে জানতো, প্রথমে ব্যাট করতে নেমে এমন বেহাল দশা হবে তাদের। শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট ইতিহাসে এটি তাদের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্কোর। এর আগে ২০১২ সালে পার্লে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৪৩ রানে অলআউট হয়েছিল লঙ্কানরা।
প্রথম ওভারে আঘাত হানেন ভারতীয় পেসার জাসপ্রিত বুমরাহ। ইনিংসের তৃতীয় বলে তাকে ড্রাইভ করতে গিয়ে উইকেটরক্ষককে ক্যাচ দেন কুশল পেরেরা। তিনি দুই বল খেলে কোন রান সংগ্রহ করতে পারেননি।
ইনিংসের চতুর্থ ওভারে সিরাজের বোলিং তান্ডব শুরু। নিজের প্রথম ওভার মেইডেন দিয়ে শুরু করেছিলেন। পরের ওভারে এসেই তিনি দেখিয়েছেন ভয়ংকর রূপ। একে একে সাজঘরে ফিরিয়েছেন লঙ্কার চার ব্যাটারকে।
একাই লঙ্কানদের ব্যাটিং লাইন আপ ধসিয়ে দেন সিরাজ। এরপরও উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। দলীয় ১২ রানে ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা দুই বলে চার ও দাসুন শানাকা রানের খাতা না খুলেই সাজঘরে ফিরে যান। শানাকাকে আউট করে পাঁচ উইকেট পূর্ণ করেন পেসার মোহাম্মদ সিরাজ। এরপর ক্রিজে আসা দুনিথ ভেল্লালাগেকে সঙ্গে নিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন কুশল মেন্ডিস।
তবে লঙ্কান শিবিরে আবারও আঘাত হানেন সিরাজ। দলীয় ৩৩ রানে ৩৪ বলে ১৭ রান করা মেন্ডিসকে বোল্ড করেন তিনি। মেন্ডিসের বিদায়ের পরেই ফিরে যান ভেল্লালাগে। এরপর দ্রুতই আরও দুই উইকেট তুলে নেয় ভারতের বোলাররা। শেষ পর্যন্ত মাত্র ১৫ ওভার দুই বলে ৫০ রানে অলআউট হয় শ্রীলঙ্কা।
৫১ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই মারমুখি ব্যাটিং করেন দুই ওপেনার ইশান কিষান ও গুভমান গিল। লঙ্কান বোলারদের কোনো সুযোগ না দিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন এই দুই ওপেনার। এই দুই ব্যাটারের ব্যাটে ভর করে ২৬৩ বল হাতে রেখে ১০ উইকেটের জয় পায় ভারত। ইশান ১৮ বলে ২৩ ও গিল ১৯ বলে ২৭ রানে অপরাজিত থাকেন।
Leave a Reply