যশোর অভয়নগরের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মরা গাছই এখন মানুষের জন্য মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে।এ গাছের নিচ দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে শতশত মানুষের সহ যানবাহন। হাসপাতালের দক্ষিণ পাশের বাউন্ডারীর মধ্যেও একটি মরা শিরিশ গাছ রয়েছে। সীমানা প্রাচীরের গাঁঘেশে সড়কের পাশে গাছের বেশ কিছু ঝুঁকিপূর্ণ ডাল রয়েছে,যা খুব বেশি ঝুঁকিপুর্ণ, যে কনো সময় ডাল ভেঙ্গে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, এবিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বেশ কয়েকবার জানানো হলেও,কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান গেটের পাশে একটি বড় রেইনট্রি গাছ মরা অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে। গাছের মরা ডাল সড়কের মাঝ বরাবর হেলে পড়েছে। যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এ সড়কে নিয়মিত শত শত মানুষের চলা ফেরা।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, একটু বাতাস হলেই ওই গাছের ডাল ভেঙ্গে পড়ে সড়কের উপর। প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে বিভিন্ন যানবাহন চলছে। এই গাছটি দ্রুত অপসারণ করা না হলে যে কোন সময় ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের কোন দূর্ঘটনা।
এলাকাবাসি অভিযোগ করে বলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি বেশ কয়েক বার মৌখিক ভাবে জানানোর পরও নেওয়া হয়নি কোন পদক্ষেপ।
অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ওহায়িদুজ্জামান খাঁন বলেন, সরকারি গাছ কাঁটতে হলে বন বিভাগের অনুমোতি প্রয়োজন হয়। গাছটি ঝুকিপূর্ণ উল্লেখ করে উপজেলা বন বিভাগ কে লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে। কিন্তু তদের কাছ থেকে কোন উত্তর পাওয়া যায়নি।
এবিষয়ে উপজেলা বন বিভাগ অফিসের সাথে যোগাযোগ করা হলে আলমগীর হোসেন জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে এমন কোন চিঠি আমাদের হাতে আসেনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে এম আবু নওশাদ বলেন, এবিষয়ে এখন পর্যন্ত কেউ আমাকে জানায়নি আপনাদের কাছ থেকে প্রথম শুনলাম। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।
যশোর জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস বলেন, সরকারি সম্পত্তিতে যত গাছ আছে সেগুলো হচ্ছে বন বিভাগের। বন বিভাগের একটি কমিটি আছে, সেই কমিটির মাধ্যমে গাছের টেন্ডার থেকে শুরু করে সকল কাজ তারাই করে থাকেন। তবে বিষয়টি আপনাদের মাধ্যমে জানতে পারলাম তাই মানুষের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে পদক্ষেপ নিতে বলবো।
Leave a Reply