বেনাপোল সীমান্তের সাদিপুর গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে নিষিদ্ধ ঘোষিত বিষাক্ত নেশাযুক্ত ৯’শ পিস “ট্যাপেনটাডল ট্যাবলেট”(ইয়াবার বিকল্প) সহ শহিদুল ইসলাম(৩৫) নামের এক মাদক পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার(২৮ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে ট্যাবলেট সহ তাকে গ্রেফতার করা হয়। আসামী শহিদুল ইসলাম সাদিপুর গ্রামের মৃত শুকুর আলীর ছেলে।
বেনাপোল পোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোঃ কামাল হোসেন ভূঁইয়া এর সত্যতা স্বীকার করে বলেন,“মাদকাসক্তরা ইয়াবার বিকল্প হিসেবে “ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট” সেবন করছে, ইয়াবা না পাওয়া গেলেই তারা এটি হাতে তুলে নিচ্ছে,
বাংলাদেশে এটির উৎপাদন নিষিদ্ধ হলেও প্রতিবেশী ভারতে এখনও এটি বৈধ হওয়ায় এটি পাচার হয়ে বাংলাদেশে আসছে। গোপণ সংবাদ পেয়ে পোর্টথানার একটি পুলিশ দল সাদীপুর গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে ৯’শ পিস “ট্যাপেনটাডল ট্যাবলেট” সহ আসামী শহিদুল কে ধরতে সক্ষম হয়”।
আসামী শহীদুলের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে মামলা দিয়ে যশোর জেলা সদর বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ব্যথা নিরাময়ের জেনেরিক ওষুধ “ট্যাপেন্টাডল’র চাহিদা বেশি দিন আগের নয়। দু ‘বছর আগে এটি বৈধ ওষুধ ছিল। দেশের আটটি ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এটি বাজারজাত করত।
নেশা হিসেবে ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় ২০২০ সালে “ট্যাপেন্টাডল” নিষিদ্ধ করা হয়। এরপর থেকে দেশীয়ভাবে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। নিষিদ্ধ হলেও ওষুধটির ব্যবসা বন্ধ হয়নি। জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন ফার্মাসিতে এখনও এটি বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া গোপনে হাতে হাতে এর বিক্রি তো রয়েছেই।
স্বল্প দামের ওষুধ হওয়ায় শহর থেকে গ্রাম-গঞ্জে সবার অগোচরে এটি ছড়িয়ে পড়েছে।
Leave a Reply