বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলার ভোমরা স্থলবন্দরের ওপারেই পশ্চিমবঙ্গের বসিরহাট। সীমান্তবর্তী এই এলাকায় শস্যক্ষেত থেকে গত মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) এক তরুণীর (২২) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
হাত-পা বাঁধা মরদেহটির গলা কাটা ছিল। মুখমণ্ডলের একপাশও পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। পরে বিকৃত এই মরদেহটির পরিচয় মেলে বাংলাদেশি। ঘটনার তিন দিনের মাথায় মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে স্থানীয় পুলিশ।
মঙ্গলবার সকালে বসিরহাটের স্বরূপনগর থানার গোবিন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গুনরাজপুর গ্রামের একটি কাকরোল ক্ষেত থেকে ওই তরুণীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ জানিয়েছে, নিহত তরুণী বাংলাদেশের বাসিন্দা। তার বাড়ি ঢাকার কাছে শ্যামপুরে। এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে মূলত একটি দালালচক্রের হাত আছে।ঘটনার তিন দিনের মাথায় শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) নিছার আলি মোল্লা নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সংস্থাটি বলছে, ওই ব্যক্তি মানবপাচার চক্রের দালাল। তার বাড়ি ঘটনাস্থলের পাশে বিথারী-হাকিমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নন্দীবাড়ি গ্রামে।
বসিরহাট জেলার পুলিশের পুলিশ সুপার জবি থমাস কে. জানিয়েছেন, ওই তরুণী ভারতে মুম্বাইয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিউটি পার্লারে কাজ করতেন। সেখান থেকে তার উপার্জিত বেশ কিছু অর্থ নিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন তিনি। এতেই দালাল চক্রের খপ্পরে পড়েন তিনি। ধারণা করা হচ্ছে, তার অর্থ হাতিয়ে নিতেই পরিকল্পনা করে তাকে খুন করা হয়েছে।
এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ হাই কমিশনারের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। মৃত তরুণীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে। এই খুনে আরও কেউ জড়িত রয়েছে কিনা, সেটাও পুলিশ খতিয়ে দেখছে বলে জানান তিনি।
Leave a Reply