ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পৃথক স্থান থেকে দুই যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে ভাঙ্গা থানা পুলিশ। শনিবার দুপুরের দিকে এবং বিকেলের দিকে উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের চৌকিঘাটা গ্রামের শেখ আইয়ুব আলীর ছেলে সাইমুল শেখ (২২) ও আরেক যুবক আলগী ইউনিয়নের সোনাখোলা গ্রামের মকবুল বেপারীর ছেলে আলমগীর বেপারী (২৭) এর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার পুলিশ থানায় নিয়ে আসে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে ,
সাইমুল পেশায় একজন ভ্যানচালক। কিস্তির টাকা উঠিয়ে তা দিয়ে একটি অটোভ্যান কিনে দেওয়ার জন্য পরিবারের কাছে দাবী করে।
অভাবের সংসার টাকার জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরেও জোগাড় করতে না পেরে মনের দুঃখে দুপুরের দিকে সে নিজ বসত ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় উড়না পেচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। সাইমুলের ১৫ দিনের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। মৃত্যুর ব্যাপারে পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় সাইমুলের লাশ তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
অপরদিকে উপজেলার মুনসুরাবাদ আশ্রয়ন প্রকল্পের একটি ঘর থেকে বিকেলে আলমগীর ব্যাপারী(২৬) নামে আরেক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আলমগীর বেপারী পেশায় একজন রং মিস্ত্রি।
সে দীর্ঘদিন ধরে তার সুমুন্দির স্ত্রী সাজেদার সঙ্গে পরকীয়া জড়িত ছিল। এর জেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে বলে প্রকাশ । এর আগে আলমগীর তার সুমন্দির স্ত্রীকে পেতে ১৫ দিন আগেও বিষ পান করেছিল বলে জানান তারা। সেই যাত্রায় বেঁচে গেলেও মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে ।
আলমগীর ও তার সুমুন্দির স্ত্রী সাজেদা বেগম এরা মনসুরাবাদ সরকারি আশ্রয়ন প্রকল্পে পাশাপাশি ঘর পেয়ে বসবাস করতেন। সাজেদার স্বামী ওদুদ মাতূব্বর ঢাকায় ফেরির কাজ করার সুযোগে এরা পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে সাজেদাকে না পেয়ে সে নিজ ঘরে আড়ার সঙ্গে গলায় রশি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানান তারা।
এদিকে এ ঘটনায় আলমগীরের আত্মীয়-স্বজন সাজেদা বেগম(২৫)কে আলমগীরের গ্রামের বাড়িতে সোনাখোলায় নিয়ে বেধেঁ রেখে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সাজেদার পিতার বাড়ি ইউনিয়নের আড়ুয়াকান্দি গ্রামে। ঘটনায় পুলিশের তদন্তকারী অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মনিরুল ইসলাম জানান, পরকীয়ার জেরে আলমগীর আত্মহত্যা করেছে,
এ বিষয়ে আমিও মহিলাটিকে আটকের কথা শুনেছি। আমি ওই এলাকার চৌকিদারের মাধ্যমে খবর নিচ্ছি এবং আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply