যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গঙ্গানন্দপুর গ্রামের ছেলে নাসিম (১৮)। গ্রামের একটি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ে। গত ৬ সেপ্টেম্বর বাড়ির কাউকে কিছু না বলে ঢাকা চলে আসে। এরপর রাজধানীর মগবাজারের একটি আবাসিক হোটেলের রুম ভাড়া নেয়। রুম নম্বর ১২৪। শনিবার (৭ অক্টোবর) রাতে সেই রুমের ফ্যানের হুকের সঙ্গে রশি পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
রমনা থানার ওসি আবুল হাসান জানান, শনিবার দিবাগত রাতে খবর পেয়ে হোটেল রয়েল ইন্টারন্যাশনালের চতুর্থ তলার ১২৪ নম্বর রুমের দরজা ভেঙে ওই শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়। রুমটিতে ফ্যানের হুকের সঙ্গে রশি পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল মরদেহটি।
তিনি আরও জানান, নাসিমের বাড়ি যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গঙ্গানন্দপুর গ্রামে। বাবা নাম ওলিয়ার রহমান। সে গ্রামের একটি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র। গত ৬ সেপ্টেম্বর পরিবারের কাউকে কিছু না বলে ঢাকায় চলে আসে সে।
এরপর মগবাজারের ওই আবাসিক হোটেলটিতে ওঠে। পরিবার জানিয়েছে, নাসিমের মানসিক সমস্যা ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তবুও বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
এদিকে মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন রমনা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলাম। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, মরদেহের কোথাও কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। তবে গলায় অর্ধচন্দ্রাকৃতির কালো দাগ রয়েছে।
Leave a Reply