চার দিন যেতে না যেতেই আবারও বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবে সাগর, বন্দর চ্যানেল ও নদী উত্তল। বৃহস্পতিবার রাত থেকে আজ শুক্রবার পর্যন্ত মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে, কিন্তু মোংলা বন্দর সহ উপকুলীয় এলাকায় গরমের তাপদাহ কমছে না। সাগর ও সুন্দরবন উপকূলের প্রচন্ড বাতাস ও দুর্যোগপুর্ন আবহাওয়া বিরাজ করছে। তবে এমন আবহাওয়ার মধ্যে সাগরে মাছ শিকারে নামতে পারছে জেলেরা।
বন্দর সুত্রে জানায়, গত কয়েকদিন যাবত প্রচন্ড তাপদাহে মোংলা বন্দরসহ উপকূলীয় এলাকার জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। গত ১৩ আগষ্ট সাগরে নিম্মচাপ কমে গেলে এর পর তিন দিন প্রখর রোদে কাজ করতে বিপাকে পড়তে হয়েছে নিতান্ত খেটে খাওয়া এখানকার দিন মজুরদের। আবার এখন বৈরী অবহাওয়ায়ও দূর্ভোগ বেড়েছে সাধারণ শ্রমজীবি মানুষের দৈনন্দিন কাজকর্মে।
বৈরী আবহাওয়া আর টানা বৃষ্টিতে অনেকটাই স্থবির হয়ে পড়েছে মোংলা সমুদ্র বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম। ব্যাহত হচ্ছে বানিজ্যিক হাজাজের পন্য খালাস বোঝাই কাজ। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুরু হওয়া দুর্যোগপুর্ন ও বৈরী আবহাওয়া আজ শুক্রবার দিনব্যাপি চলছে। মোংলা বন্দরসহ সুন্দরবন উপকুল জুড়ে একাটানা ভারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার কমান্ডার শেখ ফখর উদ্দিন জানান, বন্দরের পশুর চ্যানেলের বহিঃনোঙ্গর ও জেটিতে সার, ক্লিংকার, কয়লা ও মেশিরারীজ মালামালসহ ১৪টি বানিজ্যিক হাজাজ অবস্থান করছে। ভারি বৃস্টিপাতের কারনে এ সকল জাহাজের পণ্য খালাস-বোঝাই কাজ চরম ব্যবহত হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
এদিকে, আবহাওয়া অধিদপ্তরের সামুদ্রিক সতর্কবার্তার বুলেটিনে মোংলা বন্দরসহ দেশের তিনটি সমুদ্র বন্দর সমুহকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশ উপকুলীয় এলাকায় বায়ুচাপ পার্থক্যের অধিক্য বিরাজ করছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও সমুদ্র বন্দরসহ উপকুলীয় এলাকার উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এ কারনে বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ইলিশ মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলার সমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সুন্দরবন উপকুলের কাছাকাছি এসে সাবধনে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
Leave a Reply