বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে নাশকতার অভিযোগে কোতোয়ালি থানায় আরও একটি মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে ‘যশোর-মাগুরা সড়কের বাহাদুরপুরে নাশকতামূলক কর্মকান্ডের পরিকল্পনার অভিযোগ এনে তালবাড়িয়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই ইকরামুল হুদা কোতয়ালি থানায় মামলাটি করেছেন।
এই মামলায় কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ-সভাপতি নুরুজ্জমামান লিটন ও মহিলা দলের ৬ নেত্রীসহ ২৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
এছাড়া বিভিন্ন সদর উপজেলা বাদে জেলার অন্যান্য স্থান থেকে আরও ৪৯ জন নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। এ নিয়ে গত মঙ্গলবার ও গতকাল দুই দিনে মোট ৭৫ জনকে আটক করা হয়েছে।
নাশকতার মামলায় আটক ২৬ জন হলেন, কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ-সভাপতি নুরুজ্জামান লিটন, মহিলা দলের নেত্রী পাপিয়া খাতুন, শিল্পী খাতুন, রুবিনা খাতুন, মোছা. জাহানারা, মিনা বেগম,
মোছা. শশি, সদর উপজেলার পাকদিয়া গ্রামের শরিফুল ইসলাম, জসিম উদ্দিন, মন্ডলগাতি গ্রামের মাসুদুর রহমান, শহরের নীলগঞ্জ তাঁতীপাড়ার শেখ ফেরদৌস ওয়াহিদ লিটন, বকচর হুশতলার আরমান হোসেন,
গোপালপুর গ্রামের আরাফাত অনি, করচিয়া গ্রামের ইমামুল খন্দকার, আরবপুরের কোরবান আলী, নীলগঞ্জের আলমগীর হোসেন, সিরাজসিঙ্গা গ্রামের সিরাজুল ইসলাম, বেজপাড়া সাদেক দারোগার মোড় এলাকার আশরাফুল ইসলাম ও সাইফুল ইসলাম,
বেজপাড়ার আশরাফ হোসেন, দেয়াপাড়ার রফিকুল ইসলাম, মশিয়ার রহমান, শংকরপুরের সিদ্দিকুর রহমান, শেখহাটি জামতলা এলাকার ইকবাল হোসেন, ঘোপ সেন্ট্রাল রোডের রুহুল কুদ্দুস মুকুল ও ডাকাতিয়া গ্রামের আইয়ুব হোসেন।
যশোর শহর ও সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আরও আট জনকে আটক করে পুলিশ। তারা হলেন, নগর বিএনপি’র সাবেক যুগ্ম সম্পাদক খায়রুল বাশার শাহিন,
বারান্দীপাড়ার হোসাইন, শুকুর আলী, ঝুমঝুমপুরের খলিলুর রহমান, শেখহাটির ইকবাল হোসেন, গোয়ালদাহ গ্রামের আজিবর রহমান ওরফে আজিজুল হক, বি-পতেঙ্গালী গ্রামের রফিকুল ইসলাম, খোলাডাঙ্গা উত্তর পাড়ার আমির হামজা বাবু ও বিজয়নগর গ্রামের মামুন আহম্মদ।
এদেরকে কথিত নাশকতার পেন্ডিং মামলায় আটক দেখিয়ে গতকাল আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
Leave a Reply