এস, এম মুসতাইনঃ “আষাঢ়ের ঝরা” “শ্রাবণের ধারা” কোনটারই দেখা মেলেনি এবছর। ভাদ্র মাসে কড়া খরা তার নমুনা বুঝতেই পারছেন কৃষকরা। চলতি আমন ফসলের শুরু থেকে সেচের ব্যবস্থা সচল রাখতে হচ্ছে চাষিদের। জ্বালানি তেল ডিজেল ও রাসায়নিক সারের মূল্যবৃদ্ধিতে ফসল উৎপাদনের তুলনায় খরচের পাল্লা ভারীই হবে বলে চাষি মহলের ধারণা। বসুন্দিয়া ও বাঘারপাড়া উপজেলার বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা গেছে অধিকাংশ রোপা আমন জমিতে সেচযন্ত্র স্যালোমেশিনের ভরসা ছাড়া আর কোন উপায় অন্ত পাচ্ছে না চাষিরা।
তীব্র তাপদাহ খরার ফলে জমিতে দুএকদিন পর পর পানির ব্যবস্থা না করলে শুকি ধানগাছ দুর্বল হয়ে পড়ছে। মাথায় হাত দিয়েও লাভ হচ্ছে না, ডিজেল ও সারের দাম বৃদ্ধিতে আমন আবাদের খরচের সাথে মিল খাওয়াতে নাজেহাল কৃষক পরিবার।আশানুরূপ ফলনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে চরম শঙ্কিত। বর্ষার দুইমাস অতিবাহিত হওয়ার পর রোপন শেষ করতে হয়েছে। উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে চলতি বছর বাঘারপাড়া উপজেলায় ১৬ হাজার ৮” শ” হেক্টর জমিতে আমন ধান আবাদ হয়েছে। এবছর সেচের জন্য বিঘা প্রতি দুই হাজার টাকা বাড়তি।
রাসায়নিক সারের দাম বৃদ্ধিতে গতবছরের তুলনায় একহাজার টাকা বেশি খরচ। জমি তৈরি করতে তিন চাষে পাওয়ার ট্রিলারে গত বছর ১২” শ” এবছ ২১”শ”। প্রতি বিঘায় খরচ দাঁড়াবে ১৮ থেকে ২২ হাজার টাকা। ধান উৎপাদন ১৫ থেকে ২০ মন বিঘায়। ধান উঠা মহুর্তে ৯” শ” থেকে ১১” শ” বিক্রি তাতে ১৪ থেকে ২১ হাজার হতে পারে। লোকসানের বোঝা নেমে আসতে পারে ২ থেকে ৪ হাজার টাকা।জামদিয়া ইউনিয়নের ভিটাবল্যা গ্রামের মোঃ আব্দুল আলীম, মোঃ ইসহাক, রানা, আব্দুর রহমান সত্যপাঠ প্রতিবেদককে বলেন, আষাঢ় গেলো শ্রাবণও চলে গেছে ভাদ্র মাস বর্ষার ঘনঘটা এবছর নেই।
আবহাওয়ার পরিস্থিতিতে মনে হয় না বৃষ্টি হবে। বোরো চাষের মত খরচ আমনেও সমপরিমাণ খরচা এসে যাবে। দুদিন তিনদিন পর পর সেচ দিতে হচ্ছে। ডিজেল ও সারের দাম বৃদ্ধি পাওয়াতে লোকসানের ঘানি টানতে হবে। কথা হয় বারভাগ গ্রামের মোঃ হানিফ মোল্যা, আলমগীর মোল্যা, গফুর মোল্যার সাথে তারা বলেন দুইমাস ধরে স্যালো মেশিন চলে আসছে। আরো কতদিন চালাতে হবে তা উপর আল্লাহ-ই ভালো জানেন।
ডিজেল ও সারের দাম বেশি হওয়ায় নাকাল হয়ে যেতে হচ্ছে। বাঘারপাড়া উপজেলা উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা বাবু বিজন কুমার, বাবু কল্লোল হালদার বলেন, আবহাওয়া জলবায়ু পরিবর্তন স্বরণকালের অনাবৃষ্টি এবছর। কৃষকতো থেমে নেই বিভিন্ন উপায়ে আমন ধান আবাদ করছেন। চলতি বছর খরচের ভাগ বৃদ্ধি পাবে কারণ ডিজেল ও সারের মূল্য বেড়ে যাওয়ার জন্য। ধান চালের দামও বেড়েছে সেই তুলনায় লাভবান না হলেও লোকসান বেশি হবে না।
Leave a Reply