কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার দিবাগত রাত ২টা ২০ মিনিটের দিকে বালুখালী ১১ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ই ব্লকে এই আগুন লাগে। এতে পুড়ে গেছে ৫০টি বসতঘর। এতে ৫১ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।
উখিয়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ৪টি ইউনিট ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, স্থানীয় রোহিঙ্গারা আগুন নিয়ন্ত্রনে কাজ করেন।ভোর ৪ টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।এতে কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
উখিয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার শফিকুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। খুব দ্রুতই আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, ৫০টির মতো ঘর পুড়ে গেছে। অগ্নিকাণ্ডের কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এই অগ্নিকাণ্ড পরিকল্পিত নাকি দুর্ঘটনা, সেই রহস্য উদ্ঘাটনের তৎপরতা অব্যাহত আছে বলে জানান ৮ এপিবিএনের অধিনায়ক মোঃ আমির জাফর। তিনি আরও জানান,ক্যাম্প-১১ এর ই/৫ ব্লকের শামসুন্নাহার(৪০), স্বামী- ইলিয়াস এর ঘরে প্রথম আগুন লাগে।
পরে উক্ত আগুনের কারণে উক্ত ব্লকের আরো ০৭ টি এবং ই/১৪ ব্লকের ০৭ টি ঘরসহ মোট ১৪ টি পরিবারের ঘর আগুনে পুড়ে যায়। আগুন যেন বিস্তার লাভ করতে না পারে সেজন্য ই/৫ ব্লকের ২০ টি ঘর ও ই/১৪ ব্লকের ১০ টি ঘর ভেঙ্গে দেওয়া হয়।
সংবাদ পেয়ে ময়নারঘোনা পুলিশ ক্যাম্পের সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ রবিউল হোসেন এর নেতৃত্বে অফিসার ফোর্স মোবাইল টিমসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আগুন নিভাতে ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রনে কাজ করেন।
আগুন নিভানোর জন্য টুকটুক/টমটম পানির ১০ টি গাড়ি এবং ফায়ার সার্ভিসের ০৪ টি ইউনিট কাজ করে। ভোর ৪ টার দিকে পুরোপুরি আগুন নিয়ন্ত্রনে আসে।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে তাৎক্ষণিক ভাবে আগুন লাগার কারণ জানা না গেলেএ ১৪ টি ঘরে আগুনে পুড়ে অনুমান ২১ লক্ষ টাকা ও ৩০ টি ঘর ভেঙ্গে অনুমান ৩০ লক্ষ টাকাসহ ৫১ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন হয়। উক্ত ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। বর্তমানে ক্যাম্প এলাকার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
উল্লেখ্য এ বছরের ৫ মার্চ একই ক্যাম্পের অন্য একটি ব্লকে আগুন দিয়েছিল দুর্বৃত্তরা। ওই অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যায় ২ হাজার ২০০ ঘর, ক্ষতিগ্রস্ত হয় ১৫ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা। এর আগে ২০২১ সালের ২২ মার্চ তিনটি ক্যাম্পে একসঙ্গে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। সে সময় ১১ জনের মৃত্যু ও পাঁচ শতাধিক আহত হন। পুড়ে গিয়েছিল ৯ হাজারের বেশি ঘর।
Leave a Reply