বাগেরহাটের মোল্লাহাটে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক বিধবার সর্বস্ব লুটে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে রেনু শেখ নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে মোল্লাহাট থানায় ভুক্তভোগী একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযুক্ত রেনু শেখ উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়নের কুলিয়া গ্রামের আবুল হাশেম শেখের ছেলে ও পেশায় একজন বাবুর্চি।
ভুক্তভোগী বিধবা তানজিলা বেগম বলেন, বাবুর্চি কাজের সুবিধার্থে আমি তার সাথে কাজ করি, রেনু শেখ আমাকে বিভিন্ন কৌশলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমার কাছ থেকে নগদ এক লক্ষ টাকা নেয়, কিছুদিন অতিবাহিত হওয়ার পর বিয়ে এবং টাকার কথা বললে নানান রকম টালবাহানা শুরু করে।
একপর্যায়ে বিয়ের জন্য বিভিন্ন চাপ সৃষ্টি করলে সে আমাকে খুলনা নোটারি পাবলিক কার্যালয় মাধ্যমে বিবাহের এফিডেভিট করে আমাকে বিয়ে করে। বিয়ের পর সে আমাকে জানায় তার বাড়িতে আমাকে উঠাতে পারবে না। আমি বাধ্য হয়ে আমার বাবার বাড়ি বসবাস করতে থাকি। রেনু এখানে নিয়মিত যাতায়াত করতো।
কিন্তু এক মাস পর সে আমাকে জানায় আমার সাথে তার সম্পর্ক রাখা সম্ভব নয় এবং পাওনা এক লক্ষ টাকা দিতে অস্বীকার করে ও কোন খরচও দিতে পারবেনা সাফ জানালে তানজিলা মোল্লাহাট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
তিনি আরো বলেন, এর আগেও রেনু শেখের বিরুদ্ধে গ্রামের সহজ সরল মেয়েদের বাবুর্চি কাজের রান্নার সুবাদে একাধিক বিয়ে করে মহিলাদের সর্বস্ব লুটে নেয়ার ঘটনা রয়েছে ।
এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়ে মোল্লাহাট থানার এ,এস,আই শামসুদ্দিন দুপক্ষকে ডেকে পহেলা সেপ্টেম্বরে মীমাংসা করে দেওয়ার কথা বললে তানজিলা বলেন আইনের প্রতি আমার আস্থা আছে এবং আমি স্বামীর সাথে সংসার করতে চাই।সংগ্রহ
Leave a Reply