সারাদেশেই জেঁকে বসেছে শীত। শীতে কাবু পুরো দেশ। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, উত্তরের হিমেল হাওয়ার কারণে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। পাশাপাশি সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান কমে যাওয়ার কারণেও এত শীত অনুভূত হচ্ছে।
দেশের বিভিন্ন এলাকায় বয়ে যাচ্ছে শৈত্য প্রবাহ। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যানুসারে, রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলাসহ রংপুর বিভাগের দিনাজপুর, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম,
নীলফামারী, লালমনিরহাটের উপর দিয়ে মৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। যা আগামী দুই-তিন দিন অব্যাহত থাকতে পারে।
মৃদু শৈত্য প্রবাহের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে ফসল রক্ষায় কিছু জরুরি পরামর্শসমূহ দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। যেমন-
কুয়াশা ও মৃদু/তীব্র শীতের এ অবস্থায় বোরো ধানের বীজতলায় ৩-৫ সেন্টিমিটার পানি ধরে রাখতে হবে।
ঠাণ্ডার প্রকোপ থেকে রক্ষা এবং চারার স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য বীজতলা রাতে স্বচ্ছ পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। বীজতলা থেকে পানি সকালে বের করে দিয়ে নতুন পানি দিতে হবে। প্রতিদিন সকালে চারার উপর জমাকৃত শিশির ঝরিয়ে দিতে হবে।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে আলুর নাবী ধ্বসা রোগের আক্রমণ হতে পারে। প্রতিরোধের জন্য অনুমোদিত মাত্রায় ম্যানকোজেব গোত্রের ছত্রাকনাশক ৭-১০ দিন পর পর স্প্রে করতে হবে।
সরিষায় অলটারনারিয়া ব্লাইট রোগ দেখা দিতে পারে। রোগ দেখা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সঙ্গে অনুমোদিত মাত্রায় ইপ্রোডিয়ন গোত্রের ছত্রাকনাশক ১০-১২ দিন পর পর ৩ থেকে ৪ বার স্প্রে করতে হবে।
ফল গাছে নিয়মিত হালকা সেচ প্রদান করতে হবে। কচি ফল গাছ ঠাণ্ডা হাওয়া থেকে রক্ষার জন্য খড়/পলিথিন শিট দিয়ে ঢেকে দিতে হবে।
অনলাইন ডেস্ক
Leave a Reply