ফরিদপুরের ভাঙ্গায় নাবী পাট বীজ উৎপাদন বিষয়ক এক মাঠ দিবস পালিত হয়েছে। বুধবার বিকেলে উপজেলার চান্দ্রা ইউনিয়নের সোনাময়ী গ্রামে এ মাঠ দিবস পালিত হয়।কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষক পর্যায়ে উন্নত মানের ধান, গম ও পাট বীজ উৎপাদন সংরক্ষণ বিতরণ প্রকল্পের আওতায় ‘নাবী পাট বীজ’ উৎপাদন, বপণ প্রনালী, পরিচর্যা ইত্যাদি বিষয়ক কলাকৌশল বিষয়ে পাট বীজ উৎপাদনকারী কৃষকদেরকে অবহিত করা হয়।
এলাকার কৃষকদের দ্বারা উৎপাদিত বীজের মাধ্যমে এলাকার কৃষকদের চাহিদা পূরণ করাই ছিল মূলত এ মাঠ দিবসের প্রধান উদ্দেশ্য। স্থানীয় আদর্শ চাষী মোঃ লোকমান হোসেনের সভাপতিত্বে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ বেলায়েত হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জীবাংসু দাস,বিশেষ অতিথি বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোঃ রমজান আলী,সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা সহ এলাকার কৃষক- কৃষানীসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবৃন্দ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে কৃষি কর্মকর্তা জীবাংসু দাস প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষক পর্যায়ে উন্নত মানের ধান, গম ও পাট বীজ উৎপাদন সংরক্ষণ বিতরণ প্রকল্পে উদেশ্য এবং নাবী পাট বীজ উৎপাদন,বপণ প্রনালী, পরিচর্যা ইত্যাদি চাষাবাদ বিষয়ক কলাকৌশল তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন । তিনি বলেন, পাট প্রধান অর্থকারী ফসল হিসাবে আমাদের দেশর দোঁআশ মাটি উত্তম রুপে চাষ ও মই দিয়ে এ মাটিতেই পাট বীজ উৎপাদন করা সম্ভব এবং তার প্রকৃষ্ট প্রমান উপজেলার সোনাময়ী গ্রামে আদর্শ বীজ উৎপাদনকারী মো: সিরাজ মিয়া।তিনি পাট বীজ উৎপাদন করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।তিনি প্রতারক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বীজ কিনে প্রতারিত না হয়ে এবং মৌসুমের সময় বেশী দামে ভেজাল বীজ না কিনে সকল কৃষককে নাবী পাট বীজ উৎপাদন করে নিজেদের চাহিদা নিজেদেরই মেটানোর অনুরোধ জানান। এ উৎপাদনের মাধ্যমে ভারত থেকে আমদানি করা পাট বীজ নির্ভরতা কমে যাবে।
Leave a Reply