যশোর সীমান্তের বেনাপোলে সন্ত্রাসীদের কারণে পরিণত হয়েছে মগের মুল্লুকে। বেনাপোলে চিহ্নিত এবং আলোচিত সন্ত্রাসীরা বর্তমানে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। যাকে ইচ্ছা খুশি মারছে যাকে খুশি হেনস্তা অপমান অপদস্থ ও ইচ্ছামত মারপিট ও চাঁদা আদায় করছে। এসব ঘটনায় বেনাপোল থানায় মামলা করতে গেলে মামলা না নিয়ে পুলিশ তাদেরকে ফিরিয়ে দিচ্ছে। পুলিশ এসব বিষয় আদালতে যেয়ে মামলা দায়ের করার জন্য পরামর্শ দিচ্ছেন।
বর্তমান সময়ে বেনাপোলের চাঞ্চল্যকর ইবাদত হত্যার মাস্টারমাইন্ড জুলফিকার আলী মন্টু এলাকায় হয়ে উঠেছে বেপরোয়া। তার বিরুদ্ধে রয়েছে হত্যাসহ অন্ততঃ এক ডজন মামলা । এই মাস্টারমাইন্ড আসামি জুলফিকার আলী মন্টু ইতোপূর্বেকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ভাষায় বলা হত” তুলাচোর “।
সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে বর্তমানে নানা অভিযোগ নিয়ে থানায় গেলে পুলিশ তার বিরুদ্ধে কোন মামলা ও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। নাম প্রকাশ না করার সত্বে অনেকেই এই অভিযোগ করেন।এসব কারনেই পুলিশি নিস্ক্রিয়তায় বেনাপোলের বিভিন্ন এলাকা জুড়ে চলছে জুলফিকার আলী মন্টু বাহিনীর হামলা-মারপিট এবং বেশুমার চাঁদাবাজি সহ নানা অপরাধ করছে মন্টু। মন্টু ছাড়াও সোনা পাচারকারী হাদী বাহিনী ও মেম্বার বাহিনীসহ বিভিন্ন বাহিনীর সন্ত্রাসীদের চাদাবাজি চলছে ফ্রি-স্টাইলে।
থানা পুলিশের বজ্রআটুঁনি ফস্কা গেরোর কারণে মানুষ নির্যাতিত হচ্ছে। আর সন্ত্রাসীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এসব সন্ত্রাসীরা বেনাপোলে চাঁদার দাবিতে লোহার রড ও লাঠি নিয়ে বেনাপোলের বিভিন্ন এলাকায়ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে।
জুলফিকার আলী মন্টু বাহিনীর হামলা-মারপিট এবং বেশুমার চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে সানজিদা আক্তার লতা ও নূরজাহান বেগমসহ ৮/৯ অভিযোগ থানায় জমা দেয়া হয়েছে। সুনিদিষ্ট অভিযোগে মামলা করতে গেলেও পুলিশ মামলা না নিয়ে ভিকটিমকে থানা থেকে বিদায় করে দেয়া হচ্ছে, আর বলা হচ্ছে আদালতে যেয়ে মামলা করেন ।আর একারনে সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজরা বেপরোয় হয়ে উঠেছে।
মন্টু, সোনা পাচারকারী মেম্বারবাহিনী এবং হাদী বাহিনীর পাশাপাশি বিভিন্ন বাহিনীর তা- চলছেই। ইতোমধ্যে ফয়সাল (৩০)নামে এক যুবকের বাড়িতে সন্ত্রাসীরা গিয়ে ধরে নিয়ে যাওয়ার জন্য খোঁজাখুজি করায় বেনাপোল পোর্ট থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
গত রোববার বেলা ৫ টার সময় ফয়সালের মা জাহানারা বেগম বাদি হয়ে ৪ জনকে আসামি করে এবং অজ্ঞাতনামা আরো ৭/৮ জনকে আসামি করে অভিযোগ দায়ের করেছেন। ফয়সাল বেনাপোল পোর্ট থানার বেনাপোল কেলেরকান্দা গ্রামের মুকুল হোসেনের ছেলে। আসামিরা হলো, বেনাপোল গ্রামের জামাত মোড়লের ছেলে সিরাজুল ইসলাম (৫৫), বেনাপোল হাবিলপাড়ার জয়নালের ছেলে উজ্জল (২৬),
আনিছুর রহমানের ছেলে কনক (২৭),বেনাপোল কলেজ পাড়ার আবু তাহেরের ছেলে অনিক (২৮)। ফয়সালের মা জাহানারা বেগম বাদি হয়ে এজাহারে উল্লেখ করেন তার ছেলের সাথে আসামিদের পুর্ব শত্রুতা ছিল। রোববার বেলা ২ টার দিকে আসামিরা তার বাড়িতে লোহার রড ও লাঠিসোঠা নিয়ে হাজির হয় তার ছেলে ফয়সালকে ধরে নিয়ে যাওয়ার জন্য।
এসময় ফয়সাল বাড়িতে না থাকায় তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করতে থাকে আসামিরা। চলে যাওয়ার সময় তাদের কাছে মোটা অংকের টাকা চাঁদা দাবি করে যায়। যদি তাদের দাবি মত টাকা না পাওয়া যায় তাহলে তার ছেলেকে ধরে নিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
সীমান্তবাসীর অভিযোগ,পুলিশি নিস্ক্রিয়তায় সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য বেনাপোল মগের মুল্লুকে এখন হয়েছে। যা দেখার যেন কেউ নেই। এ ব্যাপারে বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুমন ভক্তের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন,
আমরা অভিযোগ নিয়ে তদন্ত করে সত্যতা পেলে জিডি করছি পরে সেটা কোর্টে পাঠানো হচ্ছে, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য। বেনাপোলের সাংবাদিক আজিবর রহমান, বালুন্ডা এলাকার ইউপি সদস্য তবিবর রহমান তব্বারসহ অসংখ্য মানুষকে মেরে হাত-পা ভেঙে দেয়া প্রসঙ্গে ওসি বলেন, ‘এসব বিষয়ে থানায় কেউ কোন অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেয়া হতো বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান।
Leave a Reply