যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেনের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগের সকল বর্ষের শ্রেণি প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সফলতা, সমস্যা ও সংকট উত্তরণের উপায় সমূহ নিয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে যবিপ্রবির শেখ মুজিব একাডেমিক ভবনের কেন্দ্রীয় গ্যালারিতে শুদ্ধাচার বাস্তবায়ন কমিটির আয়োজনে এই মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন।
শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সফলতা, সমস্যা ও সংকট নিয়ে উপাচার্যের সামনে তুলে ধরেন। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা সংকলন ও বার্ষিক প্রতিবেদনের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
মতবিনিময় সভায় যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, একাডেমিক অবস্থান সামনে নিয়ে যাওয়ার জন্য এ ধরণের মতবিনিময় সভা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিজেকে যদি তোমরা আলোকিত মানুষ না করতে পারো, যদি তোমরা নিজেকে প্রতিষ্ঠিত না করতে পারো তাহলে কখনো সোনার বাংলা গড়ে তোলা সম্ভব না।
শ্রেণি প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন আরও বলেন, গবেষণাধর্মী বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে যবিপ্রবি এগিয়ে যাচ্ছে। ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্যুর খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য। আগামীতে এগুলো বৃদ্ধির লক্ষ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সকল সমস্যা ও সংকট দ্রুত সময়ের মধ্যেই নিরসন করে বিশ্ববিদ্যালয় সামনে এগিয়ে যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
শুদ্ধাচার বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মেহেদী হাসানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন যবিপ্রবি কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনিছুর রহমান, ডিনস কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল কবীর জাহিদ প্রমুখ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ডিন অধ্যাপক ড. মো. জাফিরুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মো. হাফিজ উদ্দিন, সহযোগী অধ্যাপক প্রকৌশলী ড. মো. ইমরান খান, রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব, শহীদ মসিয়ূর রহমান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. তানভীর ইসলাম, শেখ হাসিনা ছাত্রী হলের প্রভোস্ট ড. সেলিনা আক্তার, অধ্যাপক ড. মো. সাইবুর রহমান মোল্ল্যা,
অধ্যাপক ড. মো. নাজমুল হাসান, অধ্যাপক ড. মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস, অধ্যাপক ড. শিরিন নিগারসহ বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান,
শিক্ষক-শিক্ষার্থী, দপ্তর প্রধান, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ। সভা পরিচালনা করেন কলা অনুষদের ডিন সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মুনিবুর রহমান।
Leave a Reply