জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে সিরিয়াল ব্রেক করে রোগী না দেখায় এক চিকিৎসকের ওপর হামলা ও তার রুম ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। ভুক্তভোগী চিকিৎসক হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. জাকা কাইফ। এ ঘটনায় মো. জসিম (৫৫) ও তার ছেলে জুয়েল হোসেনকে (৩২) আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) জয়পুরহাট ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সরদার রাশেদ মোবারক জুয়েল মেডিভয়েসকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, আমাদের মেডিসিন বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. জাকা কাইফ ১১টা থেকে আউটডোরে রোগী দেখা শুরু করেন। দুপরে ১২টা ৪০ মিনিটের দিকে এক ছেলে ও তার বাবা সিরিয়াল ব্রেক করে চিকিৎসকের কক্ষে প্রবেশ করেন। ডা. জাকা কাইফ তাদেরকে সিরিয়াল মেনে আসার জন্য অনুরোধ করেন। এতেই তারা উত্তেজিত হয়ে টেবিল-চেয়ার ও গ্লাস ভাঙচুর করে। একপর্যায়ে চিকিৎসকের গায়েও হাত দেয় তারা।
তিনি আরও বলেন, আমার তাৎক্ষণিক জয়পুরহাট সদর থানায় বিষয়টি জানাই। পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে মো. জসিম (৫৫) ও তার ছেলেকে আটক করে নিয়ে যায়। আমরা হাসপাতালের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
ভু্ক্তভোগী চিকিৎসক জাকা কাইফ বলেন, আমি বহির্বিভাগে রোগী দেখছিলাম। হঠাৎ করে দুজন লোক সিরিয়াল অমান্য করে জোরপূর্বক রুমে প্রবেশ করেন। এ সময় তাদেরকে সিরিয়াল মেনে আসতে বললে তারা অতর্কিত আমার ওপর হামলা করে এবং আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। পরে জানতে পারি তারা দুজনে বাবা-ছেলে।
জয়পুরহাট সদর থানার এস আই নোমান বলেন, মারপিট ও ভাঙচুরের ঘটনায় বাবা ও ছেলেকে আটক করা হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন জয়পুরহাট সদর থানার ওসি হুমায়ূন কবির।
তিনি বলেন, জয়পুরহাট ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে এক চিকিৎসককে মারধর করা হয়েছে এমন খবর শুনে আমরা সঙ্গে সঙ্গেই সেখানে পুলিশ পাঠাই। ঘটনাস্থল থেকেই অভিযুক্তদের আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়।
অনলাইন ডেস্ক
Leave a Reply