জমে উঠেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জে অনুষ্ঠিতব্য দশ দিনব্যাপী বিসিক উদ্যোক্তা মেলা-২০২৪। গত শুক্রবার (১ মার্চ) দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বঙ্গবন্ধু মঞ্চ চত্বরে ফিতা কেটে ও বেলুন উড়িয়ে এ মেলার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) ও স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক দেবেন্দ্রনাথ উরাঁও।
পরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আনিছুর রহমানের সভাপতিত্বে বঙ্গবন্ধু মঞ্চে আলোচনা সভা হয়। আলোচনা সভায় বক্তব্য শেষে মেলার শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধান অতিথি দেবেন্দ্রনাথ উরাঁও।বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাছমিনা খাতুন।
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) জেলা কার্যালয়ের আয়োজনে বিসিক উদ্যোক্তা মেলার আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, বিসিক জেলা কার্যালয়ের সহকারী মহাব্যবস্থাপক মোঃ আবু হোসেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. আব্দুস সামাদ, বিসিক জেলা কার্যালয়ের সপ্রসারণ কর্মকর্তা আব্দুর রহিমসহ জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, বিসিক কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ এবং জেলার উদ্যোক্তাগন।
১০ দিনব্যাপী এ মেলার মেলার ৫০ জন উদ্যোক্তা ৫০টি স্টলে তাদের পণ্য পদর্শণ ও বিক্রয় করবে।এছাড়াও হরেক রকমের রকমারি সব দোকানপাট রয়েছে মেলায় যার মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য, মেয়েদের কসমেটিকস এর দোকান, শাড়ি থ্রি পিস এর দোকান, ব্লেজার দোকান, খাবারের দোকান, শীতের পণ্য সামগ্রী, ক্রোকারিজ সামগ্রী দেশি-বিদেশি আচারের আইটেম সহ আরো অনেক কিছু।
মেলায় ঘুরতে আসা এক দম্পতি বলেন মেলায় আসতে পেরে অনেক ভালো লাগছে, এখানে দেখা ও কেনার মতো অনেক কিছু আছে, বিশেষ করে বাচ্চাদের পছন্দের খেলনা কিনতে পেরে বেশি ভালো লাগছে।
এছাড়া মেলার উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো- সকল শ্রেণী-পেশার মানুষদের জন্য ফ্রি প্রবেশের ব্যাবস্থা। মেলায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ সহ বিভিন্ন জেলা থেকে আগত উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণে প্রায় ৫০ টি দোকান রয়েছে। তারমধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য হচ্ছে- জুতার দোকান, ব্যাগের দোকান, জামা কাপড়ের দোকান, শাড়ির দোকান, আচারের দোকান, বিভিন্ন তাঁত শিল্পের দোকান, গহনার দোকান, বাচ্চাদের খেলনার দোকান, ক্রোকারিজ এর দোকান সহ অনেক রকমের ব্যতিক্রমী পণ্য নিয়ে হাজির হয়েছেন উদ্যোক্তারা।
সার্বিক বিষয় নিয়ে মেলা কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে থাকা বিসিক কর্মকর্তা আব্দুর রহিম বলেন, আমরা প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে মেলা পরিচালনা করছি। প্রশাসনের সকল শর্ত মেনেই মেলার কার্যক্রম চলছে।
আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি মেলায় আসা সকল দর্শনার্থীদের শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং নতুন নতুন উদ্যোক্তাদের উৎসাহ প্রদান করা। গত ১ মার্চ শুরু হয়েছে মেলা, চলবে আগামী ১০ মার্চ পর্যন্ত। তাই সুশৃংখল সংস্কৃতি উপভোগ করতে সবাইকে মেলায় আসার আহ্বান জানান তিনি।
আসিফ নামে একজন স্টল মালিক উদ্যক্তা জানান, বিক্রি ভালোই হচ্ছে তবে ভাড়া বেশী হয়ে গেছে, কারন ১০ দিন মেলার সময়টা খুব কম। যদি রোজার আগের দিন পর্যন্ত অনুমতি পেলে আমাদের জন্য ভালো হতো।
উল্লেখ্য, মেলা উপলক্ষে প্রতিদিন বিকেলে জেলা শিল্পকলা একাডেমীর আয়োজনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবং ১০ মার্চ বিকেলে সমাপণী অনুষ্ঠিত হবে বলে জানায় বিসিক কর্মকর্তা মোঃ আবু হোসেন।
Leave a Reply