লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার ভেলাবাড়ি ইউনিয়নের কৃষক আনোয়ার (৪৭) বলেন, তামাক চাষে তাদের শ্রমিক মজুরি দিতে হয় না বরং সার কীটনাশকের খরচ বহন করে টোব্যাকো কোম্পানীগুলো, এতে আমাদের লাভ হয় বেশি। তাছাড়া এই বিষবৃক্ষ তামাক চাষে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রচুর সময় ও শ্রম দিতে হয়।
এছাড়া, জেলা কৃষি বিভাগ কৃষকদের এ বিষয়ে বেশি করে শাকসবজি, আলু, ধান ভূট্টাসহ অন্যান্য ফসলী জমিতে চাষাবাদে উদ্বুদ্ধ করার প্রচারণা একেবারে নেই বললেই চলে। আর যেগুলো পদক্ষেপ নিয়েছে তা খুব একটা কাজে আসছে না বলছে সচেতন মহল, দরকার জরুরি ও শক্ত পদক্ষেপ।
এ বিষয়ে লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক ড. মো. সাইখুল আরিফিন জানান, তামাক চাষ তো নিষিদ্ধ না এতে আইনগতভাবে পদক্ষেপও নেয়ার কোনো সুযোগ নেই। তবে আমাদের জায়গা থেকে বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের কৃষক এনামুল হক বলেন তামাক চাষ লাভজনক হওয়ায় আমার মত ইউনিয়নের আরো তিন হাজার কৃষক তামাক চাষের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছে।
বারঘড়িয়া গ্রামের কৃষক ইমদাদুল হক বলেন গত বছরের তুলনায় এ বছর দাম বেশি। জমির উর্বরতা নষ্ট হচ্ছে এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে কৃষক বলেন তামাক তোলার পর একই জমিতে ধান উৎপাদন হওয়ায় আমরা তামাক চাষের প্রতি আগ্রহী। জমির উর্বরতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন অতিরিক্ত সার প্রয়োগ করার কারণে তেমন কোন ক্ষতি নেই বললেই চলে। আদিতমারী কৃষি অফিসের কর্মকর্তা ওমর ফারুক বলেন গত বছরের তুলনায় এবছর তামাকের চাষ তুলনামূলকভাবে কম ।
আমরা কৃষি অফিস থেকে কৃষকদেরকে আপ্রাণ চেষ্টা করে বুঝাতেও সক্ষম হচ্ছি না তামাক চাষের ক্ষতিকর দিকগুলণ সম্পর্কে। একমাত্র সরকারের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ছাড়া তামাক চাষ রোধ করা সম্ভব নয়।উপজেলার সারপুকুর ইউনিয়নের মধুপুর গ্রামের কৃষক শাজাহান সুমন সভাপতি নাগরিক উন্নয়নপ্রগতি সংস্থার চেয়ারম্যান বলেন জনগণের নিজ উদ্যোগ ছাড়া তামাক চাষ রোধ করা সম্ভব নয়।
Leave a Reply