চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভেতরে পুলিশের সামনেই নিজের পেটে ছুরি চালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন সুজন গাজী নামের এক যুবক। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাত ৯টায় থানার ২য় তলার সিঁড়ির কাছে ঘটনাটি ঘটে। যুবক সুজন গাজীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে দ্রুত কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজে পাঠান।
জানা গেছে, ২৪ মার্চ শহরের পুরানবাজার রঘুনাথপুর এলাকার এক ব্যক্তি তার ৯ম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে হারিয়ে গেছে বলে ১ এপ্রিল চাঁদপুর সদর মডেল থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। সেই নিখোঁজ ডায়েরির তদন্তের দায়িত্ব পান এসআই আব্দুল আলিম।
পুলিশের এই কর্মকর্তা মঙ্গলবার শহরের বিষ্ণুদী এলাকায় যুবক সুজন গাজীর বাসা থেকে নিখোঁজ মেয়ে ও যুবকের মাকে থানায় নিয়ে আসে। একপর্যায়ে রাত ৯টায় ওই যুবক থানায় এসে তার প্যান্টের পকেটে করে নিয়ে আসা ছুরি দিয়ে তার পেটের বাঁপাশে ছুরি ঢুকিয়ে দেন। এতে ঘটনাস্থলেই পড়ে গেলে তাকে পুলিশ সদস্যরা দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইয়াছিন আরাফাত বলেন, একটি মেয়ের জন্য তার বাবা নিখোঁজ ডায়েরি করে। সেই নিখোঁজ মেয়েকে উদ্ধারের দায়িত্বভার পড়ে এসআই আব্দুল আলিমের ওপর। পরে এসআই ভিকটিমকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। ভিকটিম যেই ছেলের সঙ্গে চলে আসে, সেই সুজন গাজীকে খবর দেওয়া হয়। সে থানায় এসে এসআই আব্দুল আলিমের সঙ্গে উত্তেজিত হয়ে বলে, আমার প্রেমিকাকে কেন থানায় নিয়ে এলেন।
পরে তাৎক্ষণিক প্যান্টের পকেটে করে নিয়ে আসা ছুরি পেটের মধ্যে ঢুকিয়ে দেয়। পরে পুলিশ তাকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। ডাক্তার তাকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজে প্রেরণ করে। এ বিষয়ে এখনও যাচাই-বাছাই চলছে। পরে পারিপার্শ্বিকতা বিবেচনা করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
-অনলাইন ডেস্ক
Leave a Reply