বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলায় দুই ব্যাংকের তিন শাখায় ডাকাতি ও গোলাগুলির ঘটনার পর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড রুখতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও। দুই উপজেলার সার্বিক নিরাপত্তায় নেওয়া হচ্ছে নতুন নতুন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে বিশেষ সাঁজোয়া যান আর্মার্ড পার্সোনেল ক্যারিয়ার (এপিসি) আনা হয়েছে।
রোববার (৭ এপ্রিল) এই দুই উপজেলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে এপিসি আনতে দেখা গেছে।
জানা গেছে, এসব এবিসি দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় টহল দেবেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এপিসি হচ্ছে যুদ্ধে ব্যবহৃত একপ্রকার অস্ত্রসজ্জিত যানবাহন। এতে অস্ত্র হিসেবে মূলত ভারী অস্ত্রের মধ্যে রিকয়েললেস রাইফেল, ট্যাংক বিধ্বংসী মিসাইল বা মর্টার শেল ব্যবহার করা হয়। মূলত পদাতিক বাহিনীকে বিভিন্ন ঝটিকা অভিযান এড়িয়ে নিরাপদে মূল যুদ্ধ ময়দানে পৌঁছে দিতেই এপিসি ব্যবহৃত হয়।
এদিকে শনিবার (৬ এপ্রিল) বান্দরবানের রুমা উপজেলা পরিদর্শন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। এ সময় তিনি জানান, সাম্প্রতিক ঘটনা কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট ভাবে সেনা প্রধানকে নির্দেশনা দিয়েছেন। হামলার সঙ্গে জড়িতরা যদি দেশের বাইরেও থাকে তাদের ইন্টারপোলের সাহায্যে দেশের মাটিতে ফিরিয়ে আইনের আওতায় আনা হবে।
রোববার (৭ এপ্রিল) সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বান্দরবানে এসে বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন।
বান্দরবান জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) হোসাইন মো. রায়হান কাজেমি বলেন, চলমান অভিযানের অংশ হিসেবে চারটি এপিসি আনা হয়েছে। পরবর্তীতে এর সংখ্যা বাড়তে পারে। জনসাধারণের নিরাপত্তায় চলমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় এপিসিগুলো রুমা ও থানচি উপজেলায় ব্যবহৃত হবে।
অনলাইন ডেস্ক
Leave a Reply