যশোরের শার্শা উপজেলার পল্লীতে গ্রহবধূকে ভিডিও ধারণ করে ভয় ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে ৫ লম্পটকে আটক করেছে যশোর পিবিআই।ধর্ষিতা ওই গৃহবধূর অশ্লীল কিছু ভিডিও ধারণ করে যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানা ও শার্শা গ্রামের মৃত হাফিজুর রহমানের ছেলে হাবিবুর রহমান (২৪), মৃত আশরাফ হোসেনের ছেলে ইমরান হোসেন (২৬), তরিকুল ইসলামের ছেলে শরিফুল ইসলাম জীবন (২০), আজগার আলীর ছেলে মোঃ মোরশেদ আলম শান্ত @ ইমদাদুল (১৯) ও মতিউর রহমানের ছেলে ওরিফাদ হোসেন (১৯)।
উক্ত লম্পটরা ওই নারীর সাথে অবৈধ সম্পর্ক করে তাকে ভয় দিকে বিভিন্ন সময় কিছু অশ্লীল ভিডিও করে। পরে ভিডিও গুলো ফেসবুকে ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে তার কাছে ৫ লাখ টাকা দাবি করে। এ বিষয়ে গত ২৮শে এপ্রিল পিবিআই যশোর জেলা ইউনিট ইনচার্জ পুলিশ সুপার রেশমা শারমিনের কাছে ধর্ষিতার পরিবারের লোকজন অভিযোগ করলে পিবিআই পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন অভিযোগটি আমলে নিয়ে তদন্তপূর্বক ৫ লম্পট যুবককে আটক করে এ ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেন।
পিবিআই যশোরের পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন এক্সপ্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানান, ইমরান হোসেন সম্পর্কে ভিকটিমের দেবর হওয়ায় সে প্রায় তার বাড়িতে আসা-যাওয়া করত। নানা ভাবে ভিকটিমকে কু-প্রস্তাব দিত। ভিকটিমের স্বামী বাড়িতে না থাকার সুযোগে গত গত কয়েক মাস আগে ইমরান ভিকটিমকে জোর পূর্বক ধর্ষন করে। সে সময় ভিকটিমের অশ্লীল ভিডিও মোবাইলে ধারণ করে। উক্ত ভিডিওটি শরিফুল ইসলাম জীবন,মোঃ হাবিবুর রহমান,
মোঃ মোরশেদ আলম শান্ত @ ইমদাদুল, ও রিফাদ হোসেনকে দেখালে তারাও ভিকটিমকে ধারণকৃত অশ্লীল ছবি ও ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেবে বলে হুমকি দিতে থাকে। একপর্যায়ে ভিকটিম স্বামী-সংসার, সামাজিক সম্মানের ভয়ে নিরুপায় বাধ্য হয়ে তাদের সাথেও শারীরিক সম্পর্ক করে। ভিকটিমের অজান্তে তারা ভিকটিমের নগ্ন ছবি ও ভিডিও ধারণ করে ভিকটিমের কাছে পাঁচ লক্ষ টাকা দাবি করে।
ভিকটিম তাদের দাবীকৃত টাকা দিতে করতে ব্যর্থ হলে তারা ভিকটিমের অশ্লীল ছবি ও ভিডিও মোবাইলের মাধ্যমে প্রচার করতে থাকে। উক্ত বিষয়ে অনুসন্ধানকালে আসামী. ইমরান হোসেন (২৬),
শরিফুল ইসলাম জীবন (২০) . মোঃ হাবিবুর রহমান (২৪) মোঃ মোরশেদ আলম শান্ত @ ইমদাদুল (১৯), রিফাদ হোসেন (১৯) ঘটনার সাথে জড়িত সত্যতা পাওয়া গেলে পিবিআই যশোর জেলা ইউনিট ইনচার্জ পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন, পিপিএম-সেবাএর নেতৃত্ত্বে পুলিশ ইন্সপেক্টর
তৈয়বুর রহমান ,এসআই রতন মিয়া, এসআই গোলাম আলী, এসআই সৈয়দ রবিউল আলম পলাশসহ একটি দল আসামি শরিফুল ইসলাম জীবন,মোঃ মোরশেদ আলম শান্ত @ ইমদাদুল (১৯), রিফাদ হোসেনকে (১৯) আটক করে জিজ্ঞাসাবাদে তথ্য উদঘাটন করেন।
Leave a Reply