যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী পরিবার এবং সহযোগী অংগ সংগঠনের উদ্যোগে গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় পালিত হয় আওয়ানী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৩তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। গত ১৯ মে ২০২৪,রবিবার ,রাত ৮টায় যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটস এর নবান্ন পার্টি হলে উৎসবমুখর পরিবেশে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।খবর বাপসনিউজ ।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ১৯৮১ সালের ১৭ মে এদেশের গণতন্ত্রের ইতিহাসের মাইলফলক। শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দেশের গণতন্ত্রের মুক্তি। সেদিন থেকেই দেশের রাজনৈতিক মঞ্চে দ্রুত দৃশ্যপট পরিবর্তন হতে থাকে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট থেকে বঙ্গবন্ধু ও জয়বাংলা স্লোগান নিষিদ্ধ ছিল।
সেদিন থেকেই সেই স্লোগান প্রকম্পিত হয়ে উঠল আকাশে-বাতাসে; রাজপথ জনগণের দখলে চলে গেল। সেনাশাসক জিয়া শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের বিরুদ্ধে ছিলেন। কিন্তু প্রত্যাবর্তনের পূর্বে সেই বছরই শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন এবং জিয়ার অভিসন্ধি ভেস্তে যায়। সেদিনের ঢাকায় লক্ষ মানুষের বাঁধ ভাঙা স্রোত তাঁকে কেন্দ্র করে সমবেত হয়েছিল। তাদের কণ্ঠে ছিল বিচিত্র ধ্বনি ও প্রতিধ্বনি। শেখ হাসিনার আগমন শুভেচ্ছা স্বাগতম, ‘শেখ হাসিনা তোমায় কথা দিলাম, মুজিব হত্যার বদলা নেব, জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের অন্যতম উপদেষ্টা ড.প্রদীপ রঞ্জন করের সভাপতিত্বে এবং যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী এবং মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক মিসবাহ আহমেদ এর যৌথ পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাপ্তাহিক ঠিকানা পত্রিকার প্রধান সম্পাদক ফজলুর রহমান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সিনিয়র সাংবাদিক হাকিকুল ইসলাম খোকন, রমেশ নাথ, শওকত আকবর রিচি ,নারীনেএী ও লেখক অধ্যাপক হুসনে আরা বেগম,এবং প্রধান বক্তা ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আইরিন পারভিন। সভার শুরুতেই শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হাসিব মামুন।
তাছাড়া সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এবং বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন দেওয়ান, আইন বিষয়ক বিষয়ক সম্পাদক এভোকেট শাহ মোঃবখতিয়ার। আলী,শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক ফরিদ আলম, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক এম এ করিম জাহাঙ্গির, ত্রাণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম, নিউইয়র্ক স্টেইট আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি শেখ আতিকুল ইসলাম,
স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সদস্য আবদুল ওয়াহাব জোয়ারদার,নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুব্রত তালুকদার, কানেক্টিকাট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন চৌধুরী, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য কায়কোবাদ খান,আসাফ মাসুক, আমিনুল ইসলাম কলিনস, শামসুল আবেদীন, খুরশেদ খন্দকার,
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ নেতা আকতার হোসেন,দেলওয়ার হোসেন মোল্লা , কফিল চৌধুরী,যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জামাল হোসেন, শাহ সেলিম,শেখ হাসিনা মঞ্চের’ সভাপতি জালালউদ্দিন জলিল, শহিদুন ইসলাম,মোহাম্মদ সারোয়ার, গোলাম খান লিপটন, মোঃ ইসলাম, শফিকুল ইসলাম, জাহিদুল ইসলাম সেলিম ও আলাউদ্দিন প্রমুখ।
সভায় বক্তারা আরো বলেন, আওয়ামী লীগকে দুর্বল করার জন্য আমাদের ভেতরে মোস্তাকের মত মীরজাফরেরা ঢুকে পড়েছে। আজকে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান তার বড় প্রমাণ। বক্তারা কমিটি বাণিজ্যের অভিযোগে সিদ্দিকুরের পদত্যাগ দাবি করেন।অন্যতায় কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন।
আলোচনা সভার শুরুতে বাংলাদেশর অভ্যূদয়ের সকল গনতান্ত্রিক ও স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে নিহত শহীদান, ৫২এর মহান ভাষা আন্দোলন, ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ, ৭৫ এর ১৫ই আগস্ট সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ,
৩রা নভেম্বর জেল প্রকষ্ঠে নিহত জাতীয় ৪ নেতা, ২০০৪ এর ২১শে আগষ্টে গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে দাড়িয়ে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।সভা শেষে সবাইকে নৈশ ভোজে আপ্যায়ন করা হয় ।
Leave a Reply