যশোরের শার্শা উপজেলার কন্যাদাহে মায়ের সামনেই হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে সাইফুল ইসলাম মুকুলকে। নিহতের পরিবারের দাবি কেবল মুকুল নয় আয়নাল বাহিনীর সদস্যদের হাতে সাইফলের পিতাও হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল।
আইনাল বাহিনীর ক্যাডাররা তাকেও হাতুড়ি পেটা করে হত্যা করেছিল ২৭ বছর আগে। এছাড়া এই বাহিনীর ক্যাডারদের হাতে বিগত দিনে এই পরিবারের ৬ জন খুন হয়েছে। একের পর এক হত্যাকাণ্ডের ঘটলেও তারা ন্যায়বিচার পাননি।
বরং বাড়িছাড়া হয়েছেন পরিবারের সকল পুরুষ সদস্য। নিহতের স্বজনরা মুকুলসহ সকল হত্যাকান্ডের বিচার দাবি করেছেন। পুলিশ বলছে ইতিমধ্যে সাইফুল হত্যাকান্ডের মূল ঘাতকসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এর সাথে জড়িত অন্যদের সনাক্ত করতে কাজ করছে পুলিশ।
যশোরের শার্শা উপজেলার কন্যাদাহ গ্রামের আজিজ গাইনের ছেলে সাইফুল ইসলাম মুকুলের জ্ঞাতি ভাই নয়ন হোসেন (১৯) ইউপি সদস্য হাসানুজ্জামান পরিবারের এক মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এ নিয়ে হাসানুজ্জামান সালিসও বসান। নয়ন শালিসে হাজির না হয়ে আত্মগোপনে চলে যান।
এ ঘটনায় গত বুধবার হাসানুজ্জামান তাঁর সহযোগীদের নিয়ে মুকুলের ভাই শরিফুল ইসলাম বকুলকে বাড়ি থেকে ধরে আনে। এরপর মুকুল ও তার মা বকুলকে উদ্ধার করতে যান। এসময় মায়ের সামনেই দুই ভাইকে হাতুড়ি, বাঁশ ও রড দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটুনি দেয়।
এতে মুকুল অচেতন হয়ে পড়েন। পরে স্থানীয় লোকজন আহত অবস্থায় দুই ভাইকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় সাইফুলকে ঢাকায় পাঠানো হয়। ঢাকায় নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার ভোর রাতে সাইফুল মারা যান।
নিহতের স্বজনদের দাবি হাসান মেম্বার আয়নাল বাহিনীর সদস্য। তাদের হাতেই ২৭ বছর আগে খুন হন মুকুলের পিতা আজিজ গাইনসহ একই গোষ্ঠীর ৬জন। একের পর এক হত্যাকাণ্ডের ঘটলেও তারা ন্যায়বিচার পাননি। বরং বাড়িছাড়া হয়েছেন পরিবারের সকল পুরুষ সদস্য। তারা মুকুলসহ সকল হত্যাকান্ডের বিচার দাবি করেছেন।
এদিকে নিহত মুকুলের পরিবারকে সান্তনা দিতে আজ শনিবার সকালে তাদের বাড়িতে ছুটে যান বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। তিনি বলেন, কেবল বিএনপি করার কারণেই একই গোষ্ঠীর এতগুলো মানুষের হত্যা করা হয়েছে। প্রশাসন চাইলে এসব হত্যাকা-ের বিচার করতে পারতো।
এদিকে পুলিশ বলছে ইতিমধ্যে মূল ঘাতকসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এর সাথে জড়িত অন্যদের সনাক্ত কাজ করছে পুলিশ। শার্শা থানার ওসি শেখ মনিরুজ্জামান দাবি করেন এই হত্যাকান্ডের মুল আসামী কে আটক করে জিঙ্গাবাদ করা হচ্ছে।
এ ঘটনায় সাইফুল ইসলাম মুকুল হত্যার ঘটনায় তার মা ছায়রা বেগম বাদী হয়ে ১৫জনকে আসামি করে শার্শা থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন ।আজ সকালে স্থানীয় ভাবে নামাজে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে মুকুলকে সমাধিত করা হয়।
বিএনপি নেতা অমিত, সৈয়দ সাবেরুল হক সাবুসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দসহ সর্বস্তরের মানুষ সাইফুল ইসলাম মুকুলের নামাজের জানাযায় অংশ গ্রহণ করেন।
Leave a Reply