তুই যে চুপিচুপি দেখছিলি আমায় সবুজ পাতার ফাঁকে মনে আছে তোর?
সেই মাহেন্দ্র ক্ষণটি ছিলো কাক ডাকা ভোর।
এখনও বাঁধানো খাঁচাটিতে তোর পালকের গন্ধ পাই।
তুই কোথায় আছিস, কেমন আছিস, খুঁজেছি অনেক কিন্তু কোথাও নাই।
আজ বার বার কেনো জানি তোকে পরছে মনে।
আর একবার দিয়ে যা তুই নয়ন চুমে।
তুই ছিলি গাছের ডালে, আমি ছিলাম কাশ ফুলে।
তোর মায়াবী চোখের চাহনিতে বুকে নিলাম তুলে।
খাঁচায় বন্দী হয়ে বলতি শুধু আমার কোলে আদর খাবি।
ভয়ে আমি কত যে দিতাম ফাঁকি , তুই তো ছিলি নাছোরবান্দা এটাই তো তোর দাবী।
ভালোবেসে কাছে নিলি বুঝে নিলাম তুই যে বড় সোহাগিনী।
তোকে নিয়ে কত স্বপ্ন দেখি যখন মনে মনে,
কোথায় তখন হারিয়ে গেলি বুকটা আমার খালি করে?
তোকে নিয়ে আজো ভাবি তাইতো মনে পড়ে।
সেই যে আমার ভালোবাসার রঙ্গের খেলায়।
মাঝে মধ্যে হারিয়ে যাই, আজো খুঁজি তোকে যেথায় সেথায়।
তুই যে ছিলি আমার বুকের পাঁজর,
আর কি পাবো তোকে এমন প্রাণের দোসর।
আজো মনে হয়, তুই যদি আবার আসিস সেই গাছটির ডালে?
আমি শরতের মেঘের ভেলার মতো চলে যাই, যেখানে তোর আমার দেখা হয়েছিলো কাশ ফুলের আবডালে।
আমি তোর প্রতীক্ষায় আছি, থাকবো আজীবন
আসবি তো? সেই পাশেই নরম গাছের পাতার বুকে?
আমার অন্তর কাঁদে , এতো ভালোবাসি যারে,
তাই তো অহর্নিশ কষ্ট পাই ধুঁকে ধুঁকে।
Leave a Reply