চাঁদাদাবি ও মানহানির অভিযোগে বহুবিতর্কিত একাধিক মামলার আসামি আনোয়ারুল কবীরসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে যশোর আদালতে মামলা হয়েছে। বুধবার যশোর শহরের পূর্ববারান্দীপাড়ার বীরমুক্তিযোদ্ধা মোজাহার আলীর ছেলে মুক্তিযোদ্ধা সন্তানকমান্ড যশোর জেলা শাখার সভাপতি কামরুজ্জামান বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন।
সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহন করার আদেশ দিয়েছেন কোতয়ালি থানার ওসিকে।
আসামিরা হলো, যশোর শহরের স্টেডিয়ামপাড়ার আনোয়ারুল কবীর, কাজীপাড়া কাঁঠালতলা এলাকার কামরুজ্জামান রিপন, মামুন মুন্সি, ঘোপ নওয়াপাড়া রোডের আমিরুল ইসলাম অপু, পালবাড়ি নতুন খয়েরতলা এলাকার বাবলু মিয়া, রেলগেট তেতুলতলা এলাকার শাহজাদা নেওয়াজ,
রেলগেট চোরমারা দিঘীর উত্তরপাড়ের হিরক চৌধুরী, চাঁচড়া রায়াপাড়ার কাজী মেহেদী হাসান, ছাতিয়ানতলা চুড়ামনকাটির হুমায়ুন কবীর উজ্জল, বাঘারপাড়ার প্রেমচারা গ্রামের পারভেজ হিরা।
মামলার বাদী কামরুজ্জামান জানিয়েছেন, তিনি মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড যশোর জেলা শাখার সভাপতি। মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড যাশোরে বিভিন্ন সেবামুলক কর্যক্রম পরিচালনা করে।
এতে তার ও তার সংগঠনের নেতাদের সুনাম বৃদ্ধি পাওয়ায় আসামিরা বেশ কিছুদিন ধরে ক্ষিপ্ত হয়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। গত ১০ মে তিনি যশোর কেন্দ্রীয় কারগারের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় আসামিরা তাকে দেখে গালিগালাজ করে দাবিকৃত চাঁদার টাকা দাবি করে।
চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করায় আসামিরা তার ও তার বীরমুক্তিযোদ্ধা পিতার নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মানহানিকর বক্তব্য ছেড়ে দিবে বলে হুমকি দেয়।
গত ২৬ মে আসামি আনোয়ারুল কবীর তার ফেসবুক আইডিতে তার ও তার পিতা সম্পর্কে মানহাকির বক্তব্য পোস্ট করে।
এই বক্তব্য তার সহযোগী অপর আসামিরা সেয়ার করে প্রচার করে। চাঁদাদাবি ও মানহানিকর বক্তব্য ফেসবুকে পোস্ট করে মানহানি করায় তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।
Leave a Reply