যশোর সদরের কৈখালী মৌজার মামড়াখোলা (মাথাভাঙ্গা) ভৈরব নদীর সাথে পূর্ব-উত্তর দিকে কৈখালী মামড়াখোলা বাওড়টি চিহ্নিত ভূমি দস্যুরা মাটি দিয়ে বাঁধ নির্মাণ করে নদীর জমিতে অবৈধভাবে মাছ চাষ করছেন।
অবৈধ দখলকারীদের আইনের আওতায় এনে নদী জবর দখলকারীদের এবং নদীদে বাঁধ ও অবৈধ পাটা উচ্ছেদ এর কার্যক্রম গ্রহনসহ নদীটি খননের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের সুপারিশ গত দেড় বছরেও বাস্তবায়ন হয়নি। ভূমি দস্যুরা নদীটি তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি হিসেবে ব্যবহার করছে।
তারা মহামান্য উচ্চ আদালতের রীট পিটিশন আদেশ উপেক্ষা করে চলেছে। আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন জানিয়েও কোন ফল হয়নি। তাই বিষয়টি ভুমি মন্ত্রনালয়সহ প্রধান মন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।
যশোর সদরের ভৈরব নদ কৈখালীস্থ এলাকার স্থায়ী বাসিন্দাদের পক্ষে আবেদন জানানো হয়েছে যে, ইতোপূর্বে উচ্চ আদালতের রীট পিটিশন নং ৩০৫৫/২০১২ এর নিদের্শনা মোতাবেক কৈখালীস্থ ভৈরব নদের সকল লিজ বাতিলপূর্বক প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন,
২০০০ মোতাবেক অবমুক্ত করার আদেশ প্রদান করেন। সে মোতাবেক এ যাবত উক্ত নদীর সংশ্লিষ্ট অংশ হাইকোর্টের নিদের্শ মোতবেক নিজে অবমুক্ত ঘোষনা করেন। কিন্তু ভৈরব নদের কৈখালীস্থ উত্তর এবং পূর্ব অংশের অনুমান ১২ একর অংশ স্থানীয় প্রভাবশালী মহল মাটি দিয়ে বাঁধ প্রদান ও পাটা স্থাপন করে মাছ চাষ অব্যাহত রেখে উচ্চ আদালতের নির্দেশ অমান্য করছেন।
যার কারনে উক্ত নীর ন্যাবতা বাধাগ্রস্থ হয়ে জন মানুষের ক্ষতির কারণ হচ্ছে। নদী অবমুক্ত ও খননের উদ্যোগ গ্রহন করে উপরের বিলগুলির পানি নিস্কাশন,জলাবদ্ধতার অবসান,পরিবেশ রক্ষা,এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা,মৎসজীবী সম্প্রদায়ের জনমহলের উপর অধিকার নিশ্চিত করা জরুরী।
বিগত গত ২০২১ সালের ৩১ আগষ্ট আবেদন কারীরা জেলা প্রশাসকের কাছে দরখাস্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তুু ব্যবস্থা না হওয়ায় অবৈধ দখলদার নদী দখল জোরদার করে জনগণের সাথে দূব্যবহার করছে। তাছাড়া, জেলা প্রশাসকের পক্ষে আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে সরেজমিনে তদন্তের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়।
সেই সময় নির্দেশনার ভিত্তিতে কচুয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিস তদন্ত করে প্রতিবেদনে প্রাথমিক পর্যায় ৯ ভূমি দস্যুদের নাম উল্লেখ করে ও তাদের অবৈধ দখলের কর্মকান্ড তথ্য ভিত্তিক চিত্র তুলে ধরে উপজেলা ভূমি অফিসে প্রদান করেন।
কিন্তু দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও রহস্য জনক কারনে তদন্ত প্রতিবেদন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পৌছাইনি। অবৈধ দখলকারীরা বেআইনীভাবে সংগঠিত হয়ে নদের মধ্যে পুকুর খনন,বাঁধ নির্মাণ ও মাটি বিক্রিতে লিপ্ত হয়েছে। গত ২৪ এপ্রিল কচুয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নায়েব স্ব-শরীওে উপস্থিত হয়ে অবৈধ কর্মকান্ডে বাঁধা প্রদান করেন এবং ৩/৪টি গাড়ী জব্দ করে উপজেলা ভূমি অফিসে জমা রাখেন।
অথচ তাদের বিরুদ্ধে অজ্ঞাত কারনে উপজেলা কর্মকর্তা ব্যবস্থা গ্রহন ও মামলা রুজু না করে রহস্যজনক কারনে তাদেও মোটর সাইকেলগুলি ছেড়ে দেন। এমতাবস্থায় জেলা প্রশাসক মহোদয়কে সরে জমিনে পরিদর্শন,উচ্চ আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন,
অবৈধ দখলদার উচ্ছেদের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন ও নদী সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহনের জন্য দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ওই অঞ্চলের হাজার হাজার কৃষক জনসাধারণ।
Leave a Reply