যশোরে গ্রাহকের ডিপিএসের পৌনে দুই লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার যশোরের আদালতে মামলা হয়েছে।
যশোর শহরের রেল রোড পশ্চিম পাড়া আব্দুল হামিদ রোডের কাজী ইফতেখারুল ইসলাম মামলাটি করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. গোলাম কিবরিয়া অভিযোগের তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ডিবি পুলিশের ওসিকে আদেশ দিয়েছেন।
অভিযুক্তরা হলেন, পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড ঢাকার ব্যবস্থাপনা পরিচালক বি এম ইউসুফ আলী, ডিএমডি (পিডিপিএস প্রকল্প) বি এম শওকত আলী, পরিচালক (পিডিপিএস প্রকল্প) মো. শাহীনুজ্জামান শাহীন, পি আই (পিডিপিএস প্রকল্প) মো. আলীম ও পপুলার লাইফ ইন্সুরেন্স লিমিটেড যশোর শাখার ইনচার্জ (পিডিপিএস প্রকল্প) মো. শাহাদত হোসেন সুজন।
কাজী রিয়াজুল ইসলাম মামলায় উল্লেখ করেছেন, তার বোন পাপিয়া ইসলাম শিলা ও স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনসহ চার জনের পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্সে ডিপিএস অ্যাকাউন্ট রয়েছে। অপর দুই জন হলেন, রেল রোড পশ্চিম পাড়া আব্দুল হামিদ রোডের সাব্বির হোসেন ও মুড়লির ইমদাদুল হক।
মাসিক ৫শ’ টাকা করে ২০১৭ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ওই চার গ্রাহক তাদের অ্যাকাউন্টে মোট এক লাখ ৭৫ হাজার টাকা জমা রেখেছেন। পারিবারিক ও আর্থিক সমস্যার কারণে গ্রাহকেরা তাদের সমুদয় টাকা উত্তোলনের আবেদন করলে পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্সের উল্লিখিত কর্মকর্তারা তাদের নানাভাবে ঘোরাতে থাকেন।
বাধ্য হয়ে গত ১ ফেব্রুয়ারি গ্রাহকেরা যশোরের কর্মকর্তা শাহাদত হোসেন সুজনকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। কিন্তু শাহাদত হোসেন সুজন লিগ্যাল নোটিশের কোনো জবাব দেননি। এরপর গ্রাহকেরা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে শাহাদত হোসেন সুজনের কাছে গেলে তিনি কিছুদিন পর টাকা ফেরত দিবেন বলে তাদেরকে আশ্বস্ত করেন।
কিন্তু কিছুদিন পর গ্রাহকেরা তার কাছে গেলে তিনি তাদেরকে টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করেন। যে কারণে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন কাজী ইফতেখারুল ইসলাম।
Leave a Reply