একজন মানুষ সত্পথে আয়-রোজগার করে হাজার কোটি টাকার মালিক হতে পারে, তাতে নেই কোনো ধরনের বাধা, বরং এতে করে একজন মানুষের পরিশ্রম ও একাগ্রতায় সফলতার নিদর্শন সৃষ্টি হয়, যাতে করে অনুপ্রাণিত হয় বহু মানুষ। সত্পথে সম্পদশালী হওয়ার বহু নজির পৃথিবীতে বিদ্যমান থাকলেও অসত্পথে অঢেল সম্পদের মালিক হওয়ার ঘটনাও কম নয়। সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশেও তার বহু নজির বিদ্যমান।
সম্মানের চেয়ে একজন মানুষের কাছে আর কিছু বড় হতে পারে না। সকল শ্রেণীর মানুষই সম্মান নিয়ে বাঁচতে চায়, তবে সে সম্মান অর্জন করতে হয় সততা, নিষ্ঠা, আন্তরিকতা ও পরিশ্রম দিয়ে। ক্ষমতার জোরে অর্থেরমহে নিমজ্জিত হয়ে অবৈধ্য পথে কোটি টাকা অর্জনকারী অর্থ ও ক্ষমতার জোরে নিজে সম্মানী ভাবলেও এবং সহযোগী চাটুকাররা সম্মান করলেও তা শুধুই লোক দেখানো হয়ে থাকে, সম্মান মূলত আসে মন থেকে, যা টাকা দিয়ে কিংবা ক্ষমতা দিয়ে আদায় করা যায় না, আদায় করতে হয় আন্তরিকতা ব্যবহার দিয়ে, ভালোবাসা দিয়ে।
পরিবার-পরিজন নিয়ে সুন্দরভাবে বাঁচতে গেলে অর্থের প্রয়োজন আছে অবশ্যই, সে অর্থ অবশ্যই সত্পথে আয়-রোজগারের মাধ্যমে আসতে হবে, অবৈধ উপায়ে নয়। সত্পথে অর্জিত আয় দিয়ে একজন মানুষ হাজার কোটি টাকার মালিক হলেও তাতে নেই কোনো বাধা। এতে প্রকাশ পায় পরিশ্রম ও নিষ্ঠা।
পাশাপাশি দৈনিকভিত্তিতে কিংবা ছোটোখাটো ব্যবসা এবং সামান্য চাকরিজীবীরাও তাদের স্বল্পআয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে সুন্দরভাবে বেঁচে থাকে, তাদের দিকে কেউ আঙ্গুল দিয়ে দুর্নীতিবাজ, ঘুষখোর কিংবা অপরাধীমূলক কোনো মন্তব্যই করতে পারে না। ন্যূনতম আত্মসম্মান নিয়েই চলতে পারে , সে মানুষেরা। তাতে ভোগবিলাসিতা না থাকলেও থাকে মানসিক প্রশান্তি।
যুগে যুগে অবৈধ উপায়ে সম্পদশালী হওয়া ব্যক্তিরা আইনের আওতায় এসেছে এবং এখনো আসছে। কেউ কেউ ক্ষমতা ও অর্থের জোরে আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চললেও সমাজের মানুষ ঠিকই এ ধরনের অসত্ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে পারে। রাতারাতি অবৈধ উপায়ে অঢেল সম্পদের মালিক হয়ে ভদ্রতার মুখোশ পড়ে রাখলেই ভদ্র ও সম্মানী হওয়া যায় না।
একসময় ঠিকই তাদের কুকর্ম ফাঁস হয়ে যায়, প্রকৃতির বিচার থেকে কেহই রেহাই পায় না তা হোক দ্রুত কিংবা বহু বছর পর, ধরা পড়তেই হয়। অসৎ পথে কোটি টাকাতেও শান্তি নেই, সম্মান নেই। অসৎ উপায়ে হাজার কোটি টাকার মালিক হলেও এ অর্থই একদিন কাল হয়ে যায় অসত্ ব্যক্তিটির।
অপরদিকে সৎ পথে সামান্য আয়েও আছে মানসিক তৃপ্তি। যার যতটুকু যোগ্যতা ততটুকুর বাহিরে রোজগার করা সম্ভব নয়। যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা অনুযায়ী যতটুকু আয়-রোজগার করা যায় তাতেই সন্তুষ্ট থাকাই হলো একজন আদর্শ মানুষের কাজ।
Leave a Reply