ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ঐতিহ্যবাহী কালামৃধা গোবিন্দ উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উত্তক্তের প্রতিবাদ করায় বহিরাগত কর্তৃক বিদ্যালয়ের কর্মচারীকে লাঞ্ছিত, মারধোর এবং শিক্ষকদের সাথে অশোভন আচরন,হুমকির প্রতিবাদ করেছেন শিক্ষক- শিক্ষার্থী। এর জের ধরে রোববার সকালে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও পার্শ্ববর্তী কালামৃধা বাজার এলাকায় বিচারের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল করে।
বিষয়টি নিয়ে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয় ম্যানজিং কমিটির সভাপতিকে অবগত করে এবং ভাঙ্গা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল সাড়ে নয়টার দিকে স্থানীয় রাজৈর উপজেলার চাঁদপট্টি গ্রামের জনৈক রিমন মাতুব্বর(১৬) বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে শিক্ষার্থীদের উত্তক্ত করতে থাকে।
এক পর্যায়ে ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মামুন অর রশিদ ক্যাম্পাস থেকে বের হয়ে যেতে বলেন এবং ভবিষ্যতে এমন কাজ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান। পরে ওই ব্যাক্তি সকাল ১০ টার দিকে তার পিতা জনৈক সিগলু মাতুব্বরকে সঙ্গে নিয়ে আসে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করেই গালিগালাজ ও বিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মী রতন মালাকারের শার্টের কলার চেপে ধরে ব্যাপক লাঞ্ছিত করে।
এক পর্যায়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষক মিলনায়তনে প্রবেশ করে সব শিক্ষকদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ ও নানাভাবে হুমকি দিয়ে চলে যায়। এক পর্যায়ে শিক্ষকদের মধ্যে ভীতি ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি শিক্ষার্থীদের মাঝে ছড়িয়ে পড়লে তারা জড়ো হয়ে বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে।
তারা তাদের শিক্ষকদের অপমান বহিরাগতের বিচারের দাবীতে নানা শ্লোগান দেয়।এ ঘটনায় বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও সদস্যদের জানানো হয়। তারা জরুরী বৈঠকে বিদ্যালয়ের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের পরিচালনা এডহক কমিটির সভাপতি মোঃ লিটন মাতুব্বর বলেন, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। জড়িত উত্তক্তের বিচারের জন্য প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। অবিলম্বে এর দৃষ্টান্তমূলক বিচার নিশ্চিত করতে হবে। বিদ্যালয়ের অভিভাবক সদস্য আসাদ খলিফা বলেন,বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষক কর্মচারীকে লাঞ্ছিত করেছে। আমরা এর উপযুক্ত বিচার চাই।
এদিকে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আসমা আক্তার বাদী হয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি বলেন,জড়িতদের বিচারের জন্য আমরা বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। অবিলম্বে বিদ্যালয়ের সুস্থ পরিবেশ নিশ্চিত করতে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।
Leave a Reply