যশোরের বাঘারপাড়ার গৃহবধু জিনিয়া ইয়াসমিন তুলি হত্যা মামলায় তার দেবর বিমান বাহিনীর সাবেক কর্পোরাল প্রভোস্ট মোহাম্মদ শাহবুদ্দিনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত।
একইসাথে মামলার অপর দুই আসামি স্বামী জুলফিকার আলী ও শ্বাশুড়ি ফরিদা বেগমকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে। রোববার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের বিচারক সুরাইয়া।
দন্ডিত মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন বাঘারপাড়া উপজেলার পান্তাপাড়া গ্রামের মৃত মোশারফের ছেলে।মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১৩ এপ্রিল স্বামী জুলফিকার আলীর সাথে মোবাইলে কথা বলছিলেন তুলি।
এসময় দেবর শাহাবুদ্দিন তার ঘরে প্রবেশ করলে শ্বাশুড়ি ফরিদা তার ঘরের দরজা আটকে দেয়। এরপর শাহবুদ্দিন ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে তুলিকে কুপিয়ে জখম করে। চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরাএগিয়ে এলে শাহাবুদ্দিন ও তার মা পালিয়ে যায়।
প্রতিবেশীরা তুলিকে উদ্ধার করে প্রথমে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভর্তি করে। পরে সিএমএইচ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে পরের দিন দুই সন্তানের জননী তুলি মারা যায়।
এ ঘটনায় নিহতের পিতা ঝিকরগাছা উপজেলার মোবারকপুর গ্রামের শহিদুল বাদী হয়ে মামলা করেন। তদন্ত শেষে তদন্ত কর্মকর্তা এসআই রফিকুল ইসলাম হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে তুলির দেবর,
শ্বাশুড়ির সাথে তার স্বামীর বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, তুলির স্বামী জুলফিকার আলীর দ্বিতীয় বিয়ের বিষয়কে কেন্দ্র করে পারিবারিক কলহের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে।
দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে সাক্ষ্য প্রমাণে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তুলির দেবর শাহাবুদ্দিনকে ফাঁসি ও ১ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন বিচারক।
একইসাথে মামলার অপর দুই আসামি স্বামী জুলফিকার আলী ও শ্বাশুড়ি ফরিদা বেগমের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।
পাশাপাশি দণ্ডিত আসামি পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
Leave a Reply