যশোরে এলাকায় মাদক বিক্রিতে বাধা নিষেধ করায় প্রতিবেশীদের হামলায় মুক্তার আলী (২৭্র) নামে এক যুবককে মারপিট করার অভিযোগে কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে।
সদরের হাশিমপুর মধ্যপাড়া গ্রামের আমিরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা বেগম। মামলায় আসামী করেন, প্রতিবেশী ফারুক হোসেনের ছেলে ফয়সাল হোসেন,মৃত বছির উদ্দিনের ছেলে ফারুক হোসেন ও ফারুক হোসেনের স্ত্রী খাদিজা বেগম।
মামলায় বাদি উল্লেখ করেন, আসামীদের ও বাদির বাড়ি পাশপাাশি এবং সম্পর্কে প্রতিবেশী। ফয়সাল হোসেন মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী প্রকৃতির। সে একাধিক মামলার আসামী। সে বিভিন্ন সময় বাদির বাড়ির সামনে প্রকাশ্যে মাদকদ্রব্য বিক্রয় করে।
এই বিষয় বাদির মেঝ ছেলে মুক্তার আলী ফয়সাল হোসেনকে নিষেধ করলে সে মুক্তার আলীকে মারপিটসহ খুন জখমের হুমকী প্রদান করে। গত ১৬ জুলাই বাদির ছেলে হাশিমপুর বাজার থেকে রাত ৯ টার সময় রওয়ানা করে বাড়িতে ফিরছিল।
রাত ৯ টা বেজে ১০ মিনিটের সময় আসামীর বাড়ির সামনে পৌছালে বাদির ছেলের পথরোধ করে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বাঁশের লাঠি ও লোহার রড দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ী মারপিট শুরু করে।
মারপিটের এক পর্যায় ফারুক হোসেনের হুকুমে ফয়সাল হোসেন চাকু দিয়ে বাদির ছেলেকে হত্যার উদ্দেশ্যে গলায় আঘাত করলে সে গলা সরিয়ে ফেললে উক্ত আঘাত ঘাড়ের উপর লেগে গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়।
বাদির ছেলের রাস্তার উপর পড়ে গেলে ফারুক হোসেন ও খাদিজা বেগম রাস্তায় পড়ে থাকা আধলা দিয়ে শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাত করে রক্তজমা ও ফোলা জখম করে। ফয়সাল হোসেন মুক্তার আলীর গলায় থাকা ৮ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়।
বাদির ছেলের ডাক চিৎকারে বাদিসহ স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে আসামীগন সকলের সামনে প্রকাশ্যে বাদির পরিবারকে পরবর্তীতে খুন করবে বলে হুমকি দিয়ে দ্রুত সেখান থেকে চলে যায়।
বাদিসহ স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় মুক্তার আলীকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। মুক্তার আলী ১৬ জুলাই থেকে ২০ জুলাই পর্যন্ত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল বলে বাদি মামলায় উল্লেখ করেন।
Leave a Reply