যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার দোসতিনা গ্রামের জবেদা খাতুন হত্যা মামলায় নিহতের স্বামী আব্দুস সালামকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ।অভিযুক্ত আব্দুস সালাম একই গ্রামের মৃত ওয়াদুদ পাটোয়ারীর ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ৪৩ বছর আগে আব্দুস সালামের সাথে সদর উপজেলার নুরপুর দক্ষিণ পাড়ার মৃত ছিটু মিয়ার মেয়ে জবেদা খাতুনের বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের জান্টু ও মিন্টু নামে দুটি সন্তানের জন্ম হয়।
২০২৩ সালের আগস্ট মাসে জবেদা খাতুন তার ছোট ভাই গোলাম মোস্তফাকে মোবাইল ফোন করে জানান, আব্দুস সালাম তাকে মারধর করে থাকেন। এ কথা শুনে বোনকে একটু ধৈর্য্য করে সংসার করার জন্য অনুরোধ জানান।
এ ঘটনার এক মাস পর একই বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গোলাম মোস্তফা খবর পান, তার বোন জবেদা খাতুনকে ভগ্নিপতি আব্দুস সালাম মারধর করায় তিনি মারা গেছেন।
এ খবর পেয়ে গোলাম মোস্তফা দোসতিনা গ্রামে গিয়ে তার বোনের লাশ দেখতে পান। পরে স্থানীয়দের কাছ থেকে গোলাম মোস্তফা জানতে পারেন, বেলা ১১টার দিকে পারিবারিক বিষয় নিয়ে দ্বন্দে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ডুমুর গাছের ডাল দিয়ে বোন জবেদা খাতুনকে ভগ্নিপতি আব্দুস সালাম মারধর করায় তার মৃত্যু হয়েছে।
এ ঘটনায় গোলাম মোস্তফা ঝিকরগাছা থানায় একটি মামলা করেন। পরে মামলা তদন্তকালে পুলিশ জানতে পারে, জবেদা খাতুনের দুই ছেলে বিয়ে করায় তারা আলাদা সংসার করেন। আর জবেদা খাতুন তার স্বামী আব্দুস সালামকে নিয়ে আলাদা থাকতেন।
ঘটনার দিন সকালে আব্দুস সালাম মাঠে গিয়ে গরুর জন্য ঘাস এবং ডুমুর গাছ থেকে ডাল কেটে আনেন। তার স্ত্রী জবেদা খাতুনও ওই সময় সরকারি হাসপাতাল থেকে ওষুধ নিয়ে বাড়ি ফিরে আসেন। তখন ক্ষিদে লাগায় আব্দুস সালাম স্ত্রী জেেবদা খাতুনকে ভাত দিতে বলেন।
জবাবে জবেদা খাতুন বলেন, তুমি তো আমার ওষুধ এনে দিবেনা। এ কারণে আমি ডাক্তারের কাছে ওষুধ আনতে গিয়েছিলাম। আর এতোই যদি ক্ষিদে লাগে তাহলে ভাত নিজে রেঁধে খাও।
তখন এই নিয়ে দুই জনের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে আব্দুস সালাম ডুমুর গাছের ডাল দিয়ে জবেদা খাতুনকে এলোপাতাড়ি মারধর করলে তিনি মারা যান। এরপর মামলার তদন্ত শেষে আব্দুস সালামকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন ঝিকরগাছা থানা পুলিশের এসআই ইব্রাহীম আলী।
Leave a Reply