বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, ফরিদপুর কর্তৃক গরীব চাষীদের জমি জোরপূর্বক অধিগ্রহনকৃত কোমরপুর-শোভারামপুর কাটাখাল পূর্ণ উদ্ধারের দাবিতে কাটাখালে জমিদাতা ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারদের পক্ষে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার(৩০ আগস্ট) সন্ধ্যায় কোমরপুর কাটাখালের পাড়ে প্রথমে সাধারণ সভা, পরে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। কাটাখালের ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিক বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াজেদ আলী বেপারীর সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন, ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিক আব্দুস সাত্তার জোদ্দার, ডাঃ শাহিন জোদ্দার, সিদ্দিকুর রহমান জোদ্দার, সুকুমার সাহা, দেলোয়ার হোসেন জোদ্দার, শাহারিয়ার হোসেন, ইসহাক বেপারী, ওবায়দুর ঠাকুর, দেলোয়ার ফকির, হুমায়ুন শেখ, আলমাছ বেপারী ও আতিয়ার ফকির প্রমুখ।
এসময় বক্তরা বলেন, ১৯৫৮ সালে আমাদের গরীব কৃষী দুইশো পরিবারে ৬৪ একর জমি ততকালীন সরকার জোরপূর্বক অধিগ্রহন করে নিয়ে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড এই কোমরপুর-শোভারামপুর কাটাখাল খনন করে।
এই খাল খননের পর আমরা কোন উপকৃত হয়নি বরং অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি। পরে আমাদের জমি ফিরে পেতে ফরিদপুর জজকোর্টে মামলা করেছি। মামলাটি বর্তমান চলমান রয়েছে। এদিকে এই খাল খননে কোন সুফল না পাওয়ায় বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ১৯৯০ সালের দিকে এই খালে ৩টি বাধ দিয়ে মাছ চাষের জন্য আমাদের ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারদের মাঝে লীজ প্রদান করে।
আমরা ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার সবাইমিলে মাছচাষ শুরু করি। এরপর ২০০৯ সাল থেকে অদ্যবধি আওয়ামীলীগের ক্যাডার বাহিনীরা জোরপূর্বক অবৈধ ভাবে আমাদের কাছ থেকে আমাদের এই খাল ছিনিয়ে নিয়ে তারা মাছচাষ করে আসছে । তারা অসাধু উপায়ে অধিক মুনাফার আশায় মাছকে খাওয়ানোর জন্য খালের পানিতে মুরগীর গু ফেলে রাখে। ফলে আমাদের রান্নাকরার জন্য পানি নেওয়া বা গোসল করা বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়াও পাটের মৌসুমে আমরা এই খালে পাট পচাইতে পারিনা।
বক্তরা এই অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে তাদের জমি ফিরে পেতে সাহায্য কামনা করেন নয়লে যতদিন পর্যন্ত মামলার ফয়সালা না হবে ততদিন উক্ত জলাশয় গুলি সরকারী বিধি মোতাবেক পূর্বের ন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার বর্গের নিকট লীজ প্রদানের জোর দাবি জানান।
এসময় বক্তরা আরও বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের বাহিরের কোন ব্যক্তি বা সমিতির নামে লীজ প্রদান করলে তাহার জন্য কোন অপৃতিকর ঘটনা ঘটলে তার দায়ভার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেই বহন করতে হবে বলে জানান।
Leave a Reply