সীমান্ত ঘেঁষা দিনাজপুরের হিলি রেলস্টেশন। আর সেই স্টেশনের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে বিষাক্ত পার্থেনিয়াম আগাছা। যা মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর এ ছাড়াও অন্য ফসলের ফলন কমিয়ে দেয় ব্যাপকহারে। এসব বিষাক্ত আগাছা সম্পর্কে অজানা স্থানীয়দের। তবে কৃষি বিভাগ বলছে, উঠান বৈঠকসহ এসব আগাছা পুড়িয়ে দেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, সীমান্তবর্তী দিনাজপুরের হিলি রেলস্টেশনের আনাচে-কানাচে অবিকল ধনিয়া গাছের মতো দাঁড়িয়ে আছে বিষাক্ত আগাছা পার্থেনিয়াম। যা সম্পর্কে অজানা স্থানীয়দের ফলে এসব বিষাক্ত আগাছার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে চলছে দৈনন্দিন কাজকর্ম এ ছাড়াও তাতে গবাদিপশুর বিচরণ লক্ষণীয়।
এসব বিষাক্ত আগাছার কারণে মারাত্মক হুমকির মুখে পরিবেশ। যার ফলে মানবদেহের নানান রোগ-ব্যাধির পাশাপাশি গবাদিপশুও পড়তে পারে মৃত্যুর মুখে। এতকিছুর পরেও এসব আগাছা দমন না করায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে স্থানীয়দের মাঝে। পার্থেনিয়াম উপমহাদেশে উদ্ভিদ নয়। মেক্সিকো থেকে ছড়িয়ে পড়েছে বিভিন্ন দেশে। বাংলাদেশেও ব্যাপকহারে জন্মাচ্ছে পার্থেনিয়াম। হিলির-রেলস্টনে ফাঁকা জায়গাগুলোতে এবং রাস্তার ধারে বাড়ির আঙ্গিনায় দেখা মিলছে এসব গাছ। আয়ু থাকে তিন থেকে চার মাস। নীরবে ক্ষতি করলেও তা জানে না বেশির ভাগ মানুষই।
হাকিমপুর উপজেলার দক্ষিণ বাসুদেব মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক আনোয়ারুল ইসলাম টুকু বলেন, বিষাক্ত আগাছা পার্থেনিয়াম গাছটি রেলস্টেশনসহ আমাদের বাড়ি ও খামার থেকে এসব বিষাক্ত আগাছা অনেক রয়েছে। এগুলো অনেক ক্ষতিকারক। উপজেলা কৃষি বিভাগ যদি কৃষকসহ সকল মানুষদের নিয়ে উঠান বৈঠকসহ পরামর্শ দেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
হাকিমপুর উপজেলা কৃষি অফিসার আরজেনা বেগম বলেন, পার্থেনিয়াম আগাছা ভয়ংকর এর সংস্পর্শে মানবদেহে তীব্র জ্বর বদহজম ক্যানসারসহ দেখা দিতে পারে নানা ব্যাধি। মানুষ ও গবাদিপশুরও ঘটতেও পারে মৃত্যু। এসব বিষাক্ত আগাছা পুড়িয়ে ফেলাসহ স্থানীয়দের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে উঠান বৈঠক করা হবে।
সূত্র : অনলাইন ডেস্ক আরটিভি
Leave a Reply